চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুলছে জ্বালানি খাতের দ্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ আগস্ট, ২০২৩ | ৪:১৪ অপরাহ্ণ

দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে ‘বেসরকারি পর্যায়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিপূর্বক মজুত, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও বিপণন নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে দ্রুত এটি চূড়ান্ত করা হবে। জ্বালানি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিশোধিত তেল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিপিসির কাছে বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি পণ্য রপ্তানিরও সুযোগ রাখা হয়েছে নীতিমালায়। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিক্রিতে বেসরকারি খাতকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। সেই তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধিত হয়ে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলসহ সরকারি বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। এর বাইরে সরকারি খাতের ৩টি ও বেসরকারি খাতের ১৩টি রিফাইনারি পেট্রোবাংলার কাছ থেকে কনডেনসেট গ্রহণের পর প্রক্রিয়াজাত করে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল, সলভেন্ট, মোটর স্প্রিট, কেরোসিন, সুপিরিয়র অয়েল, মিনারেল তারপেনটাইনসহ বিভিন্ন পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করে। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো শর্ত সাপেক্ষে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করতে পারে। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের আমদানি, পরিশোধন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতের

অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় সরকার। এতে এ খাতে যে পরিচালনগত ও আর্থিক চাপ বাড়ছে তা এড়াতে পারবে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, দেশে অপরিশোধিত তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিক্রিতে অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে ৫টি বেসরকারি কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ এবং পেট্রোম্যাক্স ও অ্যাকোয়া রিফাইনারি রয়েছে। অনানুষ্ঠানিক আলোচনার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ চট্টগ্রামে ভূমি উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে। জ্বালানি তেল সরবরাহ ও বিপণন বিষয়ে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে রিফাইনারির চূড়ান্ত অনুমোদন প্রাপ্তি/থাকা সাপেক্ষে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আবেদন করবে। বেসরকারি উদ্যোক্তা চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর বিপিসির অনুক‚লে ২৫০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট