চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

দেশের সব চা বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

অনলাইন ডেস্ক

১৩ আগস্ট, ২০২২ | ১:১৭ অপরাহ্ণ

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মত মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকরা অংশ নিচ্ছে এ ধর্মঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা।

তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশের চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাব। পাশাপাশি চা-শ্রমিকরা সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধও করবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা।

তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশের চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাব। পাশাপাশি চা-শ্রমিকরা সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধও করবে।’
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, চলতি মাসের ৩ তারিখে আমরা চা বাগানের মালিকদের কাছে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য ১ সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সেটাতে কর্ণপাত করেননি। এর প্রতিবাদে আমরা ৪ দিন ধরে সারাদেশের সব চা বাগানে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছি। তারপরও মালিকপক্ষ আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা ধর্মঘটের মত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছি।

এদিকে চলমান এই সমস্যা সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে বিভাগীয় শ্রম দফতরের মৌলভীবাজারের কার্যালয়ে বিভাগীয় শ্রম দফতরের উপপরিচালকের আমন্ত্রণে মালিকপক্ষ ও চা-শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে চা বাগানের মালিক পক্ষের কেউ উপস্থিত হননি।

কাজ বন্ধ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে গেলে মালিক ও শ্রমিক ২ পক্ষেরই ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ২৮ আগস্ট তাদের সঙ্গে বসতে সময় চেয়েছেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখতে বলেছেন। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সেটা মানেনি।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট