চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

মে মাসে রেমিটেন্স কমল ১৩ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

২ জুন, ২০২২ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

মে মাসে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৩ শতাংশ কমে গেছে। অথচ রমজানের ঈদের সময় রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমদানি ব্যয় এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এমন হ্রাসের কথা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

চলতি অর্থ বছরে এপ্রিল মাস ছাড়া কার্যত বাকী সময় জুড়েই রেমিটেন্স প্রবাহ ছিলো নেতিবাচক। অনেকেরই ধারণা যে কোভিড পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ আসার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতি উন্নতির পরপরই দেশে আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়েছিলো অনেক। এমনকি রপ্তানি ব্যয় ও রেমিটেন্স দিয়ে সে ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছিলো না। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম দ্রুত বাড়তে থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কম অর্থ পাঠাচ্ছিলেন। আবার কোভিড পরিস্থিতির উন্নতির পর গত অক্টোবর থেকেই দেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ বেড়েছে। এতে অনেকে নগদ অর্থ হাতে হাতে পাঠানোর সুযোগ নিতে পারছেন।

 

অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, ‘নগদ যে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে সেটি যোগ করার পরেও ফরমাল চ্যানেলের সাথে বেশ কিছুটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। সেটাই হয়তো বড় কারণ হতে পারে। মে মাসে যে পনের শতাংশ কমে গেছে রেমিটেন্স তার কারণও সেটা হতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৮৯তে এনেছে এটা ঠিক। কিন্তু তারপরেও কার্ব মার্কেটে হয়তো মানুষ বেশি টাকা পাচ্ছে। সেজন্য ফরমাল চ্যানেলে টাকা আসা হয়তো কমেছে।’

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রেমিটেন্স কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে। প্রবাসী অর্থের প্রবাহ শিগগিরই আবার আগের ধারায় চলে আসবে। রেমিট্যান্স একই গতিতে আসেনা। ঈদের সময় বেশি আসে। সামনে আবার বেশি আসবে। এটি ব্যতিক্রম কোন ব্যাপার নয়।’

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বড় উৎস হলো রেমিটেন্স। গত পঁচিশে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে বর্তমান আমদানির ধারা অনুযায়ী ছয় মাসের ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এছাড়াও, ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকারের রেমিটেন্স অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ছাব্বিশ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রথম এগার মাসে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে সরকার পাঁচ লাখ টাকার উপর পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাওয়ার শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতদিন পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট দিতে হতো বলে অনেকেই বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না। কিন্তু শর্ত শিথিলের কারণে এখন থেকে কোন নথিপত্র ছাড়াই অর্থ পাঠালে প্রণোদনা পাবেন তারা। সূত্র : বিবিসি

 

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট