চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন

সালিশের ‘সুযোগে’ কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ করার ‘সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন উল্লেখ করে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই ও স্থানীয় জেলা প্রশাসক।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এর আগে ২০২১ সালের ২৭ জুন পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ করতে গিয়ে এক কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ে করার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অপব্যবহার, পিবিআইকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে এবং জেলা নিবন্ধক অফিসারকে বিয়ে নিবন্ধনের বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পাশাপাশি ওই ঘটনার পর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।

পৃথক ওই তিনটি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত। একইসঙ্গে ওই কিশোরীকে নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন।

প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম ও ইকরামুল টুটুল। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নেসা নাসিমা, সীমা জহুর ও কানিজ ফাতেমা।

প্রসঙ্গত, কনকদিয়া ইউনিয়নের ওই কিশোরীরর সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ পায়। পরে ২০২১ সালের ২৪ জুন রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে পরদিন (২৫ জুন) কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

পরে একই বছরের ২৫ জুন সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান।

একইদিন (২৫ জুন) দুপর ১টায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এদিকে এই বিয়ের পর তা জানাজানি হলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে সমালোচনার মুখে ২০২১ সালের ২৬ জুন ওই একই কাজীর মাধ্যমে কিশোরী মেয়েটিকে তালাক দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের দাবি, মেয়েটি তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট