চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

বাঘের মুখে পড়লে কী করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১১:৫০ অপরাহ্ণ

সুন্দরবনের কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের দারগাং খালে মাছ ধরতে গিয়ে গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে বাঘের মুখে পড়েন আবু হায়াত ঢালী নামের এক জেলে। অন্য সঙ্গীরা বাঘের সঙ্গে ২০ মিনিট লড়াই করে তাঁকে উদ্ধার করেন।

বাঘের হামলার শিকার বনজীবীদের উদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকবার বাঘের মুখোমুখি হয়েছেন আবদুল গণি গাজী ওরফে টাইগার গণি। ৪৫ বছর বয়সী গণির বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কালিঞ্চি গ্রামে। সুন্দরবনে বাঘের হামলার শিকার শতাধিক মানুষকে তিনি জীবিত ও মৃত উদ্ধার করেছেন। তিনি জানান, বাঘের মুখে পড়লে কী করা উচিত।

অভিজ্ঞতা থেকে টাইগার গণি বলেন, সুন্দরবনে কাজ করতে গিয়ে বাঘের মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেক সময় বাঘের মুখোমুখি হয়ে জীবন হারাতে হয়। কিন্তু বনজীবীরা যদি কৌশলী হন, তাহলে বাঘের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করা কঠিন কিছু নয়। বাঘের মুখোমুখি হলে একদৃষ্টে বাঘের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শব্দ করতে হবে। থামলে চলবে না। পাশাপাশি বাঘ যদি গর্জন করে, তবে গর্জন শেষ হলেই বাঘের চেয়ে বেশি শব্দ করে গর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাঘের চোখের দিক থেকে দৃষ্টি ফেরালে কিংবা পিছু হটা মানেই বিপদে পড়া। এই কৌশল অবলম্বন করলে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে বাঘটি পিছু হটবে।

সুন্দরবননির্ভর মানুষদের বাঘের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষায় সচেতন থাকার বেশ কিছু পরামর্শও দিলেন আব্দুল গণি। তিনি বলেন, সাধারণত তিন থেকে সাতজন দল বেঁধে সুন্দরবনে কাজ করতে যান। তাঁদের মধ্যে একজন পাহারাদার থাকবেন। তিনি আগেই খোঁজখবর নেবেন কোন এলাকায় বাঘের আনাগোনা। খেয়াল রাখতে হবে বাঘের পায়ের ছাপে। প্রত্যেকের হাতে রাখতে হবে শক্ত লাঠি। তাহলে বাঘ হামলা করলে নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব।

টাইগার গণি চান সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে স্পিডবোট রাখা হোক। এতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া একটি হটলাইন নম্বর থাকা দরকার, যাতে কোথাও বাঘের আনাগোনা কিংবা কোনো বনজীবী বাঘের হামলার শিকার হলে কল করা যায়। এসব উদ্যোগ নিলে বনজীবীদের উপকার হবে বলে তিনি আশাবাদী। খবর প্রথম আলোর।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট