চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

শিশুদের জন্য বাংলা সিনেমা

শিশুতোষ চলচ্চিত্র

শারমিন আকতার

৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

একটি ভালো সিনেমা মানবমনকে উন্নত করতে পারেন। আর শিশুদের জন্য তাদের উপযোগী একটি ভালো সিনেমা খুব দরকারী। বাংলাদেশে শিশুদের জন্য ভাল কিছু সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এর কয়েকটি সস্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে। যেগুলো পরিবারের সবাই মিলে দেখতে পারেন। যা পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে সহায়তা করবে। ছোটদের সঙ্গে বড়দের মিলবন্ধন তৈরি হবে।

এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী
১৯৮০ সালে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক বাদল রাহমান নির্মাণ করেন এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী। জার্মান লেখক এরিক কাস্টনারের ১৯২৯ সালের উপন্যাস ‘এমিল অ্যান্ড দ্য ডিটেক্টিভ’ অবলম্বনে নির্মিত। খেলাঘরের ‘মুক্ত পাখিকে বন্দী কোরো না’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে খুলনার ছেলে এমিল ঢাকায় পুরস্কার নিতে আসে। ট্রেনে তার সাথে থাকা ৫০০ টাকা হারিয়ে ফেলে। টাকাটা নানুর জন্য মা দিয়েছিল। এই প্রথম একা কোথাও এসেছে এমিল। বলতে গেলে তেমন কিছুই চেনে না। তারপরও তার কিন্তু অনেক সাহস। যে করে হোক টাকা উদ্ধার করবেই। যে কথা সে কাজ। সন্দেহ হয় হ্যাট পরা একজনকে। তার পিছু নেয় এমিল। এরপর শুরু হয় তার অভিযান। অভিযানে তার সঙ্গী হয় ঢাকার একদল বিচ্ছু পিচ্চি ও তাদেরই একজনের মামা। এমিলের বাহিনীর অভিযান সফলতার মুখ দেখে। আর চোর ধরা পড়ে। সেই সময়ের শিশু-কিশোরদের কাছে ছবিটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। এমনকি সব সময়ের শিশুদের কাছে এটা সমান উপযোগিতা রাখে।

আমার বন্ধু রাশেদ
মুহম্মদ জাফর ইকবালের শিশুতোষ উপন্যাস অবলম্বনে ২০১১ সালে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন আমার বন্ধু রাশেদ। রাশেদ একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে তার বয়সী ছেলেরা যখন পরিস্থিতি বুঝতে অক্ষম। তখন রাজনীতি সচেতন রাশেদ তার বন্ধুকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে রাশেদ। সঙ্গে কয়েকজন বন্ধু। সম্মুখযুদ্ধে বন্দী হয়ে যায় তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা। একদিন রাশেদ ও তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ ও তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে যুদ্ধে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট