নতুন জাতীয়করণ হওয়া স্কুল প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে এ শিক্ষকদের পদায়ন ও তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে নেয়া হয়েছে দক্ষ করে তোলার পরিকল্পনা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চলমান কার্যক্রমের আওতায় এ পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকটি। কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মেহের আফরোজ, নজরুল ইসলাম বাবু, ইসমাত আরা সাদেক, শিরীন আখতার, আলী আজম এবং ফেরদৌসী ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় চলমান মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পৃক্ত করে তদারকির মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ২১ লাখ জনসাধারণকে স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন করে তোলা।

বলে স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করে যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতা হিসাবে সভাপতি প্রার্থীর সন্তানকে অবশ্যই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, চলমান রয়েছে ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম। এসব শিক্ষককে নব্য জাতীয়করণকৃত স্কুলে পদায়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলারও।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পূর্বকোণ/রাশেদ