চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

ঈদে হার্টের রোগীরা যা খাবেন, যা খাবেন না

১০ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

ডাক্তার/নিউট্রিশনিস্ট যাদের ফ্যামিলিতে আছে তারা অনেকেই শুনে থাকবেন ঈদের পর হার্ট অ্যাটাক/স্ট্রোকের রোগী হাসপাতালে রাতারাতি অনেকটা বেড়ে যায়। তো এজন্য ঈদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে হার্টের রোগীরা বেশ আতঙ্কেই থাকেন।

অনেকেই জানতে চান হার্টের রোগীরা ঈদে কিভাবে খাওয়া দাওয়া করবেন। এর কোন সিম্পল গাইডলাইন নাই, কোন সুনির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্যান দুনিয়াতে নাই যাতে সমস্ত হার্টের রোগীই ভাল থাকবেন, কারণ হার্ট ডিজিজ অনেক ধরনের এবং অনেক কারণে ঘটে।

আবার, একেক রোগীর মেটাবলিজম একেক রকম হয়, খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার এটা। তো এজন্য, সুনির্দিষ্ট ডায়েট প্ল্যান দেয়া সম্ভব না। কিন্তু আমরা কিছু টেকনিক ফলো করতে পারি যাতে ঈদে হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়।

যা যা করা যাবে না
১) ডালডা-ভেজিটেবল বাটার/ঘি সম্পুর্ণ বর্জন করা
২) অবশ্যই কোকাকোলা-পেপসি-স্প্রাইট বা এইজাতীয় পানীয় পান না করা
৩) রোযার পর ঈদের দিন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পরিমান সিগারেট বিক্রি হয়। ধুমপান সর্বতোভাবে এড়িয়ে চলুন।
৪) চাঁদ রাত এবং ঈদের দিন রাতে অনেকেই এলকোহল জাতীয় পানীয় পান করে থাকেন। এটা এড়িয়ে চলুন
৫) একই বেলায় তৈলাক্ত খাবার ও চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না, অন্তত ৮ ঘন্টা গ্যাপ রাখবেন। সুইট ফ্যাট বা চিনিযুক্ত চর্বি হচ্ছে হার্টের জন্য সবচে বিপজ্জনক কয়েকটা খাবারের একটা

যা যা করনীয়
১) খাবারে যথেষ্ট পরিমান সবুজ শাকসবজি বা গ্রীন সালাদ রাখুন (অন্তত প্লেটের ৩০%)
২) পোলাও, তেহারী, কাচ্চি অবশ্যই এক বসায় পুরো এক প্লেট খাবেন না
৩) রসুন-আদা-কালোজিরা এই তিনটা মসলার ব্যবহার বাড়ান খাবারের আগে-পরে
সকালে ভাঙ্গা দুই কোয়া রসুন খাবেন চিবিয়ে, খালি পেটে, আদা খাবেন প্রতিবেলা খাবার পর। দিনে ২-৩ বার আদার রস-১ চা চামচ করে হালকা গরম পানিতে নিয়ে ১/২ চামচ কালোজিরা তেল মিশায়ে খেয়ে ফেলবেন। এসিড রিফ্লাক্স তথা গ্যাসের সমস্যা থাকলে কালোজিরা তেল না খাওয়াই ভাল।
৪) লেবুতে অতি ভক্তি করে লাভ নাই। অনেক হার্ট ডিজিজ প্যাশেন্টেরই গ্যাসের সমস্যা থাকে। হার্ট হেলথ রক্ষা করতে গিয়ে গ্যাস বাড়ানো ভাল স্ট্র‍্যাটেজি না।
৫) সিভিট ফোর্ট খান খাবার প্রতিবেলা খাওয়ার ১-১ঃ৩০ ঘন্টা পরে।
৬) যাদের বাসায় লাইফ এক্সটেনশনের ম্যাগনেসিয়াম আছে, ঈদ ও ঈদের পরের ৭ দিন দিনে ৫০০-১০০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম নিন
৭) প্রেসার নিয়মিত চেক করুন এবং ওষুধ খাবার পরেও ৬ ঘন্টার বেশি সময় ধরে প্রেসার ১৬০ এর বেশি থাকলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

আমরা একটু চেষ্টা করলেই ঈদের আনন্দকে কান্নায় পরিনত হওয়া থেকে ঠেকাতে পারি৷ প্রয়োজন সতর্কতার। স্ত্রী-মেয়ে বা বন্ধুদের চাপাচাপিতে রিচ ফুড+সুগারি ড্রিংক্স একসাথে খাবেন না, ধুমপান করবেন না, কৃত্রিম ঘি বাসায় ব্যবহার করবেন না। আল্লাহ সবার ঈদকে আনন্দময় করুন, আমিন! সূত্র : সজল’স ডায়েট ফালসাফা

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট