চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে টরিন, বলছে গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক

২৩ জুলাই, ২০২৩ | ৬:০৫ অপরাহ্ণ

দীর্ঘদিন তারুণ্যের স্বাদ পেতে চায়। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মেই একটা সময় চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে থাকে। সেই বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে এমন একটি অণুর কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেটি হলো টরিন।

ইঁদুর এবং বানরের ওপর গবেষণা করে গবেষকরা নাটকীয় ফলাফল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তারা সায়েন্স রিপোর্টে জানিয়েছেন, টরিন প্রাণীর শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্যকর লিভার ও উন্নত ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে প্রাণীর শরীরে বার্ধক্য আসে ধীর গতিতে। মানে কোনো প্রাণীকে স্বাভাবিক বয়সে যতটা বয়স্ক লাগে টরিন প্রয়োগের পরে তার সেই বার্ধক্য রোধ করে।

এটি মানব শরীরেও ভালো কাজ করবে বলে আশা গবেষকদের। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইপিআইসি-নরফোক স্টাডি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ৪০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৩০ হাজার পুরুষ ও নারীর স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং শারীরিক কার্যকলাপ ট্র্যাক করে গবেষকরা দেখেছেন, সামগ্রিকভাবে উচ্চ টরিনের মাত্রাযুক্ত ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যকর ছিলেন। নিম্ন স্তরের প্রদাহ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বা মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল তাদের। এর ফলে তাদের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ দেরিতে পড়ে।

টরিন বাড়াতে পারে ব্যায়াম: আরেকটি অনুসন্ধানে গবেষকরা মানুষের ব্যায়ামের পরিমাণ এবং তাদের টরিনের মাত্রার মধ্যে একটি সম্পর্ক আবিষ্কার করেছেন। ইপিআইসি-নরফোক গবেষণা থেকে তথ্য যাচাই করে, গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন ব্যায়ামের সঙ্গে টরিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

টরিনযুক্ত খাবার: মানুষের শরীর অল্প পরিমাণে টরিন তৈরি করতে পারে, যার বেশিরভাগই খাবারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। ঝিনুক, গাঢ় রঙের মুরগি এবং টার্কির মাংসে সর্বোচ্চ মাত্রার টরিন থাকে। অন্যান্য মাংসে মাঝারি পরিমাণে টরিন থাকে। এ ছাড়া দুধ এবং আইসক্রিমের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলিতেও টরিন থাকে স্বল্প মাত্রায়।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট