চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

দাঁত শিরশির বন্ধ করতে মাউথ ওয়াশ

অনলাইন ডেস্ক

৪ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:১৮ অপরাহ্ণ

মাউথ ওয়াশ একজাতীয় রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ তরল জীবাণুনাশক। ফ্লোরাইড মাউথ ওয়াশের অন্যতম এক উপাদান এটি মুখের ভেতরকার ত্বক, দাঁত, মাড়ি, জিহবা ও কণ্ঠনালির সুরক্ষায় উপকারী এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।

 

মাউথ ওয়াশের ধরন:
বাজারে পাঁচ ধরনের মাউথ ওয়াশ পাওয়া যায়
১) কসমেটিক মাউথ ওয়াশ: মুখে সুগন্ধ আনে
২) ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথ ওয়াশ: দাঁত গঠনে সাহায্য করে
৩) রোগ প্রতিরোধ মাউথ ওয়াশ: মুখের ঘা নিরাময় করে
৪) অ্যালকোহল ফ্রি ন্যাচারাল মাউথ ওয়াশ: যাদের মুখ বেশি শুষ্ক থাকে তাদের জন্য
৫) প্রেসক্রিপশন মাউথ ওয়াশ: মাড়ির প্রদাহ হলে ব্যবহৃত হয়।

 

উপকারিতা:
১) মুখ গহ্বরে সুগন্ধ ফিরিয়ে আনে
২) মুখ থেকে খাদ্যবস্তু পরিষ্কার করে
৩) দন্তক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করে
৪) দাঁত শিরশির বন্ধ করে
৫) মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে
৬) মুখের শুষ্কতা কমিয়ে আনে
৭) দাঁত সাদা করে

 

মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম:
১) চার চা চামচ (২০ মিলিলিটার) পরিমাণ মাউথ ওয়াশ একটি কাপে নিতে হবে।
২) কাপ থেকে মাউথ ওয়াশ মুখে নিতে হবে।
৩) এটি মুখে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে।
৪) যখন মুখে মাউথ ওয়াশ থাকবে তখন গারগল করতে হবে।
৫) অতঃপর মাউথ ওয়াশ বেসিনে ফেলে দিতে হবে।

ক্ষতিকর দিক:
১) ফ্লোরহেক্সিডিনযুক্ত মাউথ ওয়াশ দাঁতে দাগ ফেলে।
২) মুখের স্বাদ নষ্ট করে।

 

ব্যবহারে সতর্কতা:
১) মাউথ ওয়াশে বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল ও ফ্লোরাইড থাকায় ছয় বছরের নিচে বাচ্চাদের ব্যবহার করা ঠিক নয়।
২) ফ্লোরহেক্সিডিনে এলার্জি থাকলে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যাবে না।
৩) প্রতিদিন ৩০ সেকেন্ড সময় ধরে ব্যবহার করতে হবে।
৪) মাউথ ওয়াশ গিলে ফেলা যাবে না।
৫) দাঁত ব্রাশ করার পর মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
৬) গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত।
৭) বুকের দুধদানকারীদের মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. অনুপম পোদ্দার, অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট