চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রস্রাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

অনলাইন ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০২২ | ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

কিছু সম্ভাব্য কারণ যা থেকে মাত্রাতিরিক্ত দুর্গন্ধ হয় প্রস্রাবে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও সংক্রমণের ফলে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হতে পারে। জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন।

১। মূত্রনালীর সংক্রমণ: ইউটিআই বা মূত্রনালীর সংক্রমণ সাধারণত নানা অযাচিত ব্যাক্টেরিয়ার কারণে ঘটে যা মূত্রাশয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি করে। দুর্গন্ধ এই ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির একটি প্রত্যক্ষ লক্ষণ। তবে শুধু মূত্রের দুর্গন্ধই নয়, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা এবং ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার মতো অন্যান্য একাধিক লক্ষণ দ্বারা ইউটিআই চিহ্নিত করা হয়।

২। পানির অভাব: প্রস্রাব অতিরিক্ত জল এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থের মিশ্রণ ছাড়া আর কিছুই নয়। কাজেই যখন জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত হয় না তখন অন্য বর্জ্য পদার্থগুলির মাত্রা বা ঘনত্ব বেড়ে যায় ও খারাপ গন্ধ তৈরি হয়।

৩। ডায়াবেটিস: গন্ধযুক্ত প্রস্রাব ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর শরীর অন্যান্য মানুষের দেহের মতো চিনি হজম করতে সক্ষম হয় না, যার কারণে তাঁদের প্রস্রাব মিষ্টি বা ফলের গন্ধযুক্ত হতে পারে। কেবল প্রস্রাবের গন্ধই নয়, বারংবার মূত্র ত্যাগের প্রবণতাও ডায়াবেটিসের লক্ষণ।

৪। যৌন রোগ: যৌনতার মাধ্যমে সংক্রামিত রোগ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন প্রস্রাব এবং মূত্রাশয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কখনও কখনও এই সংক্রমণগুলি মূত্রনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে যা প্রস্রাবের গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে কেবল যৌনতার মাধ্যমে সংক্রমিত রোগই নয়, যোনির সামান্য জ্বালাও দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।

৫। ইস্ট সংক্রমণ: যোনিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রাকৃতিকভাবে ইস্ট থাকে। কিন্তু এর পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এটি শরীরে, বিশেষত যোনিতে নানা প্রকার জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব মূত্রনালী এবং যোনিপথ সংলগ্ন অঞ্চলে ইস্টের সংক্রমণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট একটি নির্দেশক। এই ধরনের সংক্রমণের ফলে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ ছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যার মধ্যে যোনি দেশের লালভাব, ফোলাভাব এবং ঘন সাদা স্রাব উল্লেখযোগ্য।

শাকসবজি হয়তো আপনার শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অধিক শাকসবজি খেলেও তা হার্ট এটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে না। খবর বিবিসি অনলাইনের। স্বাস্থ্য পরামর্শদাতারা প্রতিদিন অন্তত পাঁচভাগ ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার কথা বলে থাকেন। তাই গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় হৃদরোগ এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত সমস্যায় শাকসবজি গ্রহণে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট