চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

মাস্কের ব্যবহারে যক্ষ্মা রোগী কমেছে?

অনলাইন ডেস্ক

২৬ এপ্রিল, ২০২১ | ২:৪৭ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। আবার ফিরিয়ে দিয়েছে মাস্ক পরার মতো কিছু অভ্যাসও। আর তাতেই নাকি কমেছে যক্ষ্মার মতো সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ।

যক্ষ্মা রোগী কমেছে : করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। তার ফলে ফ্লু, নিউমোনিয়া, হাম ও যক্ষ্মা প্রভৃতি ব্যাকটিরিয়াঘটিত রোগ ক্রমশ কমেছে। ভারতের বিশিষ্ট বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, ‘মাস্ক পরলে সংক্রমণ কমতে পারে। কাশির সঙ্গে যাদের টিবির জীবাণু বেরোচ্ছে, তেমন কতজন মাস্ক পরেছেন, বাড়িতে পরেছেন কি না, বাড়ির লোকদের সংক্রমণ হয়েছে কি না, এসব ভাবার ব্যাপার আছে। লকডাউনের জন্য অনেক জায়গায় ভিড় কম হয়েছে। ভিড়ে টিবি রোগীরা যাননি, সেজন্যও টিবি কম ছড়াতে পারে।’

করোনায় যক্ষ্মার চিকিৎসা : অথচ গত জুন মাসে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তা উদ্বেগের। আগে ভারতে যক্ষ্মায় প্রতিদিন চার হাজার রোগী মারা যেতেন। গবেষকদের দাবি, সেই সংখ্যা আগামী পাঁচ বছরে ৯৫ হাজার হয়ে যাবে।

কারণ, মহামারি মোকাবিলাতেই চিকিৎসকরা ব্যস্ত। অন্যান্য রোগের তেমন চিকিৎসা হয়নি। এর প্রভাব পড়বে আগামী পাঁচ বছরে। ফলে যক্ষ্মা আরও মারাত্মক হবে। ডাব্লিউএইচও-এর প্রাক্তন পরামর্শদাতা ও সিনিয়র ভাইরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ নন্দী বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষ সমীক্ষা, অর্থাৎ ঘরে ঘরে গিয়ে টিবি রোগী শনাক্ত করা এবং পরোক্ষ সমীক্ষা, অর্থাৎ চিকিৎসকের কাছে আসা যক্ষ্মারোগীর হিসেব, এই দুটিই লকডাউনে ব্যাহত হয়েছে। টিবি একটা ক্রনিক রোগ। এর সম্পূর্ণ প্রকাশ পেতে কয়েক মাস, এমনকি কয়েক বছর সময় লাগে। মার্চ-এপ্রিল থেকে মাস্ক পরলাম আর তৎক্ষণাৎ সুফল পেয়ে যাব, এটা হয় না।” ডয়চে ভেলে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট