চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ : এডিবি

অনলাইন ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ

চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।  প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই কমিয়েছে এডিবি। এর আগে চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ায় সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দেয় এডিবি। এবার তারা বলছে, এই প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের (এডিও) হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা এর আগের প্রতিবেদনে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। প্রবৃদ্ধির নতুন এই পূর্বাভাস এখনো প্রাক্‌-মহামারি স্তরের নিচে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি, বাংলাদেশে বা বড় উন্নত অর্থনীতিতে সংক্রমণের হার, অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত চাহিদা কমে যাওয়া ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিল্প খাতে শক্তিশালীকরণ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অব্যাহত সম্প্রসারণ এবং কার্যকর সরকার পুনরুদ্ধারের নীতি দ্বারা সমর্থিত হওয়ায় একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন দেখা যাবে। তবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়বে। চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশের ঘরে থাকবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

গত অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে এনেছে সংস্থাটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে বলছে তারা, যা আগে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি।

সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, জীবিকা রক্ষায় সরকারের নীতি বাংলাদেশে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশ এই কঠিন সময়ে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, প্রণোদনা কর্মসূচি ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত টিকা দেওয়া এবং দেশীয় সম্পদ আহরণ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক সুরক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদ্যোগের প্রশংসা করে মনমোহন প্রকাশ আরও বলেন, ‘ব্যবসার প্রতিযোগিতা, বিদেশি বিনিয়োগ, রপ্তানি–বৈচিত্র্য, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য ধারাবাহিক সংস্কার বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট