চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মশার কৌশল শিখে পথ দেখালেন বাঙালি বিজ্ঞানী

ব্যথা লাগবে না ইঞ্জেকশনে!

(গত সংখ্যার পর)

মরিয়ম আকতার

৭ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:৫২ পূর্বাহ্ণ

শরীরে যখন মশা হুল ফোটায়, প্রথমে আমরা তা বুঝতেই পারি না। মশা রক্ত খেয়ে উড়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারি। তা হলে কি মশা কোনও বিশেষ কৌশল জানে?

সুমনের লক্ষ্য মাইক্রো নিড্ল
যন্ত্রণাহীন ইঞ্জেকশনের যন্ত্রণাহীন সূচ বানানোর জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন আইআইটি খড়গপুরেরসুমন চক্রবর্তীও।
তবে তাঁর গবেষণা মূলত ‘মাইক্রো নিড্ল’ তৈরি নিয়ে। সেক্ষেত্রে এমন সরু সূচ বানানোর চেষ্টা চলছে, যাতে তা শরীরে ঢোকালে যন্ত্রণা হবেই না বলা চলে।
এই পদ্ধতির সমস্যা কোথায়?
খুব সরু সূচ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল, এটি ভেঙে যেতে পারে। সুমন ও তাঁর সহযোগীরা এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এমন একটি উপাদান ব্যবহার করছেন যা খুব শক্ত। তাই সুমন মাইক্রো নিডল তৈরির জন্য টাইটেনিয়াম ও টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করেছেন।
স্মার্ট ওয়াচে মাইক্রো নিডল?
সুমন জানিয়েছেন, এই টাইটেনিয়ামের সূচটিকে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে, যা সহজেই আমাদের শরীর থেকে রক্ত টেনে নিতে পারবে। রক্তের শর্করার মাত্রা নির্ণয়ের জন্য। সেই সঙ্গে ইনস্যুলিন প্রয়োগের প্রয়োজন হলে তা-ও ঢোকানো যাবে এই সূচের মাধ্যমেই। সুমনদের চেষ্টা এটাকে একটি স্মার্ট ওয়াচের ছোট সিস্টেমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার। যাতে সাধারণ মানুষ সেটা সহজে ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারে আনার সমস্যা রয়েছে, তবু…
তবে ওই সিস্টেমটিকে বাজারে আনতে গেলে, এর উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তাই সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যখন আমি, আপনি এমন এক ধরনের ইঞ্জেকশন ব্যবস্থা বা সূচ পেয়ে যাব, যা আমাদের অজান্তেই শরীরে ওষুধ ঢুকিয়ে দিতে পারবে বা পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য শরীর থেকে টেনে নিতে পারবে রক্ত।
[সূত্র : আনন্দবাজার]

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট