চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কলা, বালি, কক্ষপথের জায়গা এবং আরো তিনটি জিনিস

বিশ্ব থেকে যে কারণে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে

নাসরিন আকতার

৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

ঘাটতি তৈরি হওয়া বা অভাব বোধ করা এমন
একটি অনুভূতি, আমাদের যার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।

আপনি হয়তো শুনেছেন যে, পানি, তেল বা মৌমাছির মতো নানা জিনিসের ঘাটতি ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু
পৃথিবীর আরো অনেক সম্পদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে অথবা ঠিকমতো ব্যবহার না হওয়ায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। কিন্তু এগুলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে।

এখানে সেরকম ছয়টি বিষয়ের বর্ণনা করা হলো।
১. কক্ষপথে জায়গা কমে যাচ্ছে
২০১৯ সাল পর্যন্ত কক্ষপথে প্রায় পাঁচ লাখ বস্তু পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এর মধ্যে মাত্র ২০০০ আসলে কার্যক্ষম-স্যাটেলাইট, যা আমরা যোগাযোগ, জিপিএস বা আমাদের প্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলোর দেখার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বাকি জিনিসগুলো রকেট নিক্ষেপণ এবং কক্ষপথে আগের নানা সংঘর্ষের ফলে তৈরি হওয়া আবর্জনা।
কিন্তু তাতে সমস্যা কোথায়?

এই পাঁচ লাখ বস্তু এখন পর্যন্ত সনাক্ত করা হয়েছে-সেই সঙ্গে প্রতিদিনই কক্ষপথে নতুন নতুন জিনিস নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, কক্ষপথে কোন কিছু পাঠানো ততই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কক্ষপথে কোন ট্রাফিক কন্ট্রোলের ব্যবস্থা নেই এবং কক্ষপথে থাকা এসব অপ্রয়োজনীয় এবং উচ্ছিষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কার করারও এখন পর্যন্ত কোন প্রযুক্তি নেই। ফলে এ ধরণের জিনিসে পৃথিবীর চারদিকের কক্ষপথ ক্রমেই ভরে যাচ্ছে। এগুলোর সংখ্যা যত বাড়বে, কক্ষপথে ব্যস্ততা যত বেশি হবে, তখন এসব বস্তুর সঙ্গে আমাদের দরকারি উপগ্রহগুলোর, যা আমাদের কাজে, নকশায়, মোবাইল ফোনের যোগাযোগ, আবহাওয়া নজরদারি কাজ
করে-সেগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সমস্যার কোন সমাধান কারো কাছে নেই।

২. বালি
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, বালির ঘাটতি তৈরি হওয়া কিভাবে সম্ভব যেখানে আমাদের সৈকত আছে, মরুভূমি ভর্তি বালু আছে? কিন্তু সত্যিটা হলো, বালি হচ্ছে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি তুলে নেয়া কঠিন
পদার্থ- যার সঙ্গে নুড়িও থাকে। জাতিসংঘ বলছে, প্রাকৃতিকভাবে যে হারে বালু তৈরি হয়, আমরা তার চেয়ে অনেক বেশি হারে এর ব্যবহার করছি।
প্রাত্যহিক নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, পানি বিশুদ্ধিকরণ, এমনকি কাঁচ ও মোবাইল ফোন তৈরিতে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেহেতু বালি কমে যাওয়ার ফলে ভঙ্গুর ইকো-সিস্টেমকে হুমকিতে ফেলছে, এ কারণে বিশ্বব্যাপী দাবি উঠেছে যে, এই নাজুক পদার্থটির অত্যধিক ব্যবহারের ব্যাপারে নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা। [সূত্র : ডয়চে ভেলে]
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট