পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ও প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেক তরুণ ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে। দালাল বা চুক্তি পত্রের সাথে মিল খুঁজে না পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে আকামা সমস্যা ও কোম্পানির অতিরিক্ত দাবিসহ সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ার অভিযোগে গত বছর একাধিক বার আন্দোলন করতে দেখা গেছে। কুয়েত দূতাবাস এই সকল সমস্যা সমাধানে লক্ষ্যে অনলাইনে অভিযোগ ফরম চালু করেছে। রবিবার ১৮ অক্টোবর দূতাবাসে নতুন ফেসবুক পেইজ এম্বাসি অফ বাংলাদেশ, কুয়েত এই তথ্য নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আপনাদের অনেকেই কুয়েতের বিভিন্ন কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত আছেন। কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে আপনারা কোম্পানীর কাছ থেকে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অনিয়ম না হলেও মাঝে মাঝে আপনাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির ব্যাপারে অনিয়ম ঘটে থাকে বলে দূতাবাসের কাছে অভিযোগ আসে। অনেক ক্ষেত্রে দূরবর্তী এলাকা থেকে অনেকে দূতাবাসে এসে অভিযোগ পেশ করতে পারেন না। কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি উপলব্ধি করে একটি অনলাইন অভিযোগ ফরম পূরনের ব্যবস্থা করেছে। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের উপর ভিত্তি করে দূতাবাস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে অনলাইন অভিযোগ ফরমের মাধ্যমে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার পূর্বে নিশ্চিত হবেন যে আপনার দেয়া অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য। কেননা অসত্য কিংবা আংশিক সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ নিতে গেলে তা দূতাবাসের জন্য অপ্রীতিকর হবে। অভিযোগ ফরমে আপনি শুধু মাত্র সেই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে পারেন যা আপনি নিজে সম্মুখীন হয়েছেন। অনুগ্রহ করে অন্যের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করবেন না। আপনার দেয়া তথ্যকে দূতাবাস গোপনীয় তথ্য হিসাবে বিবেচনা করবে।https://bdembassykuwait.org/support/

পূর্বকোণ/সাদেক-এএ