চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ান

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ

প্রত্যেকটা ঋতু আল্লাহপাকের সৃষ্টির অপরূপ একেকটা নিদর্শন। শীত না থাকলে গ্রীষ্মকালের গুরুত্ব বুঝা যেত না। বর্ষাকাল না থাকলে বসন্তকালকে অনুভব করা যেত না। এভাবে ঋতুর পরিবর্তনে আমাদের জীবনে গতি আসে। গরম যেমন মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলে। আবার শীতকালও মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। হাড় কাঁপানো শীত ভাবের এবং রুচির ভিন্নতা এনেছে। এসব অনুভূতি, প্রকৃতি গ্রাম কিংবা পাহাড়ি জনপদে দেখা মেলে। শৈতপ্রবাহের দিনগুলো দরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষদের জীবনে আসে এক চরম দুর্দিন হিসাবে। প্রত্যেকটা সময় তাদের জন্য পীড়াদায়ক। রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে যাদের বসবাস। তাদের শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম কোন পরিবর্তন আনে না। সন্ধ্যায় শীতল হাওয়া, রাতের শিশির, ভোরের ঘন কুয়াশা, সকালের মিষ্টি রোদের কোন অনুভূতি নেই। তাদের আশ্রয়ের জায়গা বা কোথায়? গ্রামাঞ্চলে অতবেশি শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করতে চোখে পড়ে না। গ্রামে শীতার্ত কম তা নয়, বরঞ্চ বেশি। একটা প্রবাদ আছে, কারো পৌষমাস, কারও সর্বনাশ।

অনেকের কাছে স্বস্তির কিংবা আরামপ্রদ হলেও কারও কাছে অস্বস্তিকর। ঠান্ডার কারণে হাঁপানি, ব্যথাজনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যাদের মুমূর্ষু অবস্থা তাদের অনেকে যবনিকাপাত ঘটে। সামর্থ্যবানদের শীত থেকে রক্ষা পাবার নানান উপায় আছে। কিন্তু অসহায়, দুঃস্থ, ছিন্নমুলদের অবস্থা আমরা যদি একটু চিন্তা করি, তারাও আমাদের মত রক্তমাংসের মানুষ তাদেরও শীত-গ্রীষ্মের বোধগম্যতা আছে এদের টনকও নাড়া দেয়। আমরাও তো চাইলে সাহায্যের হাতখানা প্রসারিত করতে পারি। অনেকে আছেন প্রতিবছর সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন এবার হয়তো প্লান নিয়েছেন বা নিবেন। আপনার সহযোগিতার হাতটা এককেন্দ্রিক না হয়ে বহুমুখিও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ফান্ড ছোট হলে সামষ্টিকভাবে করা যায়। যাতে ভুক্তভোগিরা আপনার দানের সুফলটা ভোগ করতে পারে। শীতার্তদের সাহায্যে তাদের অন্তরের দোয়া আপনার সফলতার পথের পাথেয় হতে পারে। তখনই হবে মানবতার জয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট