চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

সড়কপথের নতুন আইন হোক দুর্ঘটনা রোধের মাধ্যম

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ

জীবন বাঁচার তাগিদে মানুষকে ঘরের বাহিরে যেতে হয়। এজন্য কোনো না কোনো বাহন মানুষকে ব্যবহার করতে হবে। লঞ্চ, ট্রেন, স্টিমার, বিমান, বাস, মিনিবাস, বাইক, নসিমন, সিএনজি, অটো এসব মানুষের চলাচলের প্রধান বাহন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে কোনো বাহনই নিরাপদ নয়। পত্রিকায় চোখ রাখলেই দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। সড়ক পথের দুর্ঘটনা মানুষকে ভীষণভাবে চিন্তিত করেছে। প্রতিদিনই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। অনাকাক্সিক্ষত এই দুর্ঘটনার অনেক কারণের মধ্যে চালকের বেপরোয়া গতি ও খারাপ রাস্তা দুর্ঘটনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় গাড়ির বেপরোয়া গতি মানুষকে আতঙ্কিত করছে। এতে যেমন হারাচ্ছে তাজা প্রাণ, তেমনি হারাচ্ছে দেশের সুনাম। জেল জরিমানার মতো কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও তার অপপ্রয়োগে কারণে সড়ক দুর্ঘটনাকে কোনোভাবেই দমাতে পারেনি। অদক্ষ চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি, প্রতিযোগিতামূলক চালানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।

এভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকলে দেশের সেরা সম্পদরা হারিয়ে যাবে। চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়কের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করে যাচ্ছেন। আশানুরূপ ফল তিনি দেখাতে সক্ষম হননি। নিরাপদ সড়কের জন্য ছাত্রদের সেই আন্দোলনকে জনসাধারণ যে সাপোর্ট দিয়েছে, তার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ সড়কের জন্য নতুন আইন করে তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন আইনের ধারায় যুক্ত হয়েছে অনেক কিছু। মেয়াদ বেড়েছে জেলের, বেড়েছে জরিমানার পরিমাণও। তবে এই আইনের বিরোধিতা করছেন সড়কে মানুষ হত্যাকারী গণপরিবহনের কতিপয় মালিক। ধর্মঘটের মত কর্মসূচি দিয়ে নতুন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পূর্ব অভিজ্ঞতায় আলোকে দেখা যায়, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন করলে একটি মহল সর্বদাই এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের সাথে ক্ষমতাবান একটি মহলের সুসম্পর্ক রয়েছে। মানবতাহীন এসব নরপশুদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সড়ক পথের নতুন আইন হোক সড়ক দুর্ঘটনা রোধের মাধ্যম। এই আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার সকলের দায়িত্ব।

মো. আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট