চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

শৃঙ্খলাই পারে সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে

১ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:০৪ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌপথ ও রেলপথ। রেলপথে দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে। নৌপথে শুধুমাত্র ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই এবং প্রতিযোগিতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতো। কিন্তু এখন তা কমে গেছে। দৈনন্দিন স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত সব জায়গায় যাতায়াতে সড়কের বিকল্প নেই। সড়কপথে মৃত্যুর মিছিল যেন থামার নয়। সড়ক পথে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে নিরাপদ সড়ক কল্পনা করা যাবে না। নিরাপদ সড়কের সাথে জড়িত যানবাহন, পরিবহন মালিক, চালক, বিআরটিসি, আইন প্রয়োগ ও জনগণ। যানবাহনের কথাই বলি যানবাহনগুলো কি ত্রুটিমুক্ত! বিদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কম হয় কেন ? কারণ প্রতি বছর যানবাহনগুলো ত্রুটিমুক্ত আছে কিনা তা চেক করতে হয়। আর যদি ত্রুটিযুক্ত থাকে তাহলে চলাচলের জন্য অনুমতি দেয় না। তারপর রাস্তায় চলাচলের গতি সীমা থাকে কোথাও কম কোথাও বেশি, আর যদি নিয়ম না মানে তাহলে সি.সি. ক্যামেরায় ধরা পড়লে জরিমানা দিতে হয়। জরিমানার পরিমাণ বেশি হলে লাইসেন্স বাতিল হয়। যদি দক্ষতা ভালো না থাকে তাহলে ড্রাইভারকে লাইসেন্স পেতে ১০-১২ বার পর্যন্ত ট্রাই দিতে হয়। গাড়ি চলন্ত অবস্থায় মাদকাসক্ত ও মোবাইলে কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ট্রাফিক রুল ও সিগন্যাল সবকিছু চালকরা মান্য করতে হবে।

বিদেশের মতো কঠোর আইন প্রয়োগ করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যেতো। এখন আমাদের তা করণীয়। দেশে পরিবহন মালিক কর্তৃক ড্রাইভারদের ওপর অর্থ রোজগারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। অর্থের বিনিময়ে যেন লাইসেন্স দেওয়া না হয় এবং ড্রাইভারদের বিশ্রামের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা। গাড়িতে গাড়িতে যেন ওভারটেকিং না হয়। সাধারণ পথচারীরা যেখানে সেখানে রাস্তা পার না হয়ে জেব্রা ক্রসিঙে যেন রাস্তা পার হয়। ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা, যাতে পথচারীরা ফুটপাতে হাঁটতে পারে। যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ কিনা এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করছে কিনা তা তদারকি করা। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে দেখা যাবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের ছড়াছড়ি। সড়কে মৃত্যু কারো কাম্য নয়। তাই সড়কের সাথে যারা জড়িত তারা সবাই যদি সুশৃঙ্খল না হয় এবং দোষীদের যদি শাস্তির আওতায় আনা না হয় তাহলে নিরাপদ সড়ক কখন সম্ভব হবে না।

শ্রীধর দত্ত
মেলঘর, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট