চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ জরুরি

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

কোনো দেশে আইনের শাসন বা সুশাসন কতটা নিশ্চিত তার অনেকাংশে নির্ভর করে জনসাধারনের দৈনন্দিন জীবনের মান কতটা উন্নত বা অবনত হয়েছে তার ওপর। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান দৈনন্দিন খাদ্যমানের ওপর ভিত্তি করে অনেকটা। বাংলাদেশের খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানোর সংবেদনশীল ও আলোচিত খবরগুলো জনসাধারণ বা ভোক্তাদের মনে হতাশা সৃষ্টি করতে বাধ্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক খাদ্যদ্রব্যে বিপুল পরিমাণে ভেজাল মেশানোর খবর পত্রিকায় বড় বড় শিরোনামে এসেছে। সরকারের ‘ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি’ এর আগে গরুর দুধ-দইয়ে ভেজাল পেয়েছিল। এবং তারও কিছুদিন আগে হাইকোর্ট দুধ-দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, অণুজীব, কীটনাশক ও সিসা মেশানোর প্রমাণ পেয়েছিলো। এবং আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ব্যবহার্য অনেক খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নিশ্চিত করা গেছে।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যের মধ্যে ব্যবহৃত উপাদানের শুদ্ধতা চিহ্নিত করতে। তাদেরই পরীক্ষায় বেশ কিছুদিন আগে ৫২টি পণ্যের নি¤œমান প্রমাণিত হয়। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছি, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরেও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিস্থিতির তেমন হেরফের ঘটেনি। অথচ সরকারি সংস্থার দ্বারা ভেজাল চিহ্নিত হওয়ার পরেই উপযুক্ত সরকারি সংস্থা দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, সেটাই স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের প্রত্যাশা। কিন্তু দেখা যায় যে, সরকারি সংস্থার দ্বারা খাদ্যে দুর্নীতি চিহ্নিত এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়া এবং এরপর হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করার পরেও পরিস্থিতি একই রকম থাকছে। এর ফলে ভোক্তাদের মধ্যে হতাশা, এমনকি অসহায়ত্ববোধ আরও তীব্র হওয়া স্বাভাবিক। আমরা দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ আশা করব, ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রত্যাহার করে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সরকার একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ‘সুস্থ দেহে সুন্দর মন’ নিয়ে গড়ে উঠবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন হোক সাথে জনসাধারণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হোক।

মিতা কলমদার
লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট