চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুজবের গজব

সাবিহা সুলতানা

৩১ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

একটি অশুভচক্র দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। গুজব এমন বিবৃতি, যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে বা কখনোই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান শাস্ত্রে গুজবের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা পাওয়া যায়। গুজব অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য এবং অসংগত তথ্য; এই দুই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বুঝায় এবং অসংগতিপূর্ণ তথ্য; ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। রাজনীতিতে গুজব বরাবর গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।

গুজবের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফেসবুক ও ইউটিউবকে। এতে সহজে গুজব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। গুজব আমাদের দেশে বড় ধরনের এক সমস্যার কারণ। গুজবের কারণে বিভিন্ন সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে, যা বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য গুজব ছড়ায়। সম্প্রতি পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ওঠে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে নাকি মানুষের মাথা লাগবে, এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে শুরু হয় আতঙ্ক। আবার ছেলেধরা সন্দেহে গুজব তুলে কয়েকজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে ইতিহাসের একটি বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। সেতু নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে এক শ্রেণির মানুষ ফেসবুক, ইউটিউবে চালাচ্ছে মিথ্যা প্রচারণা।

ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনাও থামছে না। অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। সে খবর এসেছে গণমাধ্যমেও, তবু কমছে না। আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব। কোনো খবরের সত্যতা যাচাই না করে আমরা গুজবে কান দিই। প্রাণ যায় নিরীহ মানুষের, লাভবান হয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। গুজবের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হোক। গুজব প্রচারকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট