রাফা সীমান্ত দিয়ে আসা নির্যাতিতদের চিকিৎসা খাতে এতোদিন ধরে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন শুধু আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছিল। ফাউন্ডেশনের বা মিশরের কোন হসপিটালের সাথে বাংলাদেশের আর কোন সংস্থার সাথে কোন অফিসিয়াল চুক্তি ছিল না।
এবার কায়রোর মানসম্পন্ন একটা হসপিটাল ও আলহাজ্ব শামসুল হক (আশ) ফাউন্ডেশনের সাথে বাংলাদেশের প্রথম সংস্থা হিসেবে হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি।
এতে করে আশ ফাউন্ডেশন উক্ত হসপিটালের ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধিতে আর্থিক সহায়তা দিবে আর সংশ্লিষ্ট হসপিটাল আশ ফাউন্ডেশনের রেফারেন্সে গাজার নির্যাতিতদের কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও বাকীদের খুবই স্বল্প মূল্যে চিকিৎসা সেবা, অপারেশন ইত্যাদির ব্যবস্থা করবে। হসপিটালের নির্ধারিত স্থানে থাকবে আশ ফাউন্ডেশনের প্রকাশ্য উপস্থিতি তথা ফাউন্ডেশনের নাম, লোগো ইত্যাদি।
আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ ও চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসার অর্থ দিয়ে গাজার নির্যাতিত রোগীদের যাবতীয় খরচ বহন করবে আশ ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে কায়রোর উক্ত হসপিটালে আগামীকাল বেশ কিছু মেডিকেল ইকুইপমেন্ট হস্তান্তর ও আশ ফাউন্ডেশনের সাথে অফিসিয়াল চুক্তি সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, গাজায় চলমান মানবিক কর্মসূচিতে অসহায় ভাই-বোনদের জন্য আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাজার খান ইউনিস ও আল মায়াউশির বিভিন্ন ক্যাম্পে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দেশের প্রথম সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চটুকুন দিয়ে ইফতার ও সেহরি বিতরণ, জরুরি পানি সরবরাহ, খাবার বিতরণ, তাঁবু নির্মাণ, টয়লেট স্থাপন, মসজিদ নির্মাণ, সোলার বিদ্যুৎ, কুরবানি, শীত বস্ত্র বিতরণসহ নিয়মিত চলছে বিবিধ মানবিক কর্মসূচি।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ