চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাজারেও ছড়িয়েছে গ্রীষ্মের উত্তাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসী। দাবদাহের এই উত্তাপ যেন পৌঁছে গেছে সবজির বাজারেও। গ্রীষ্মের সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও অধিকাংশ সবজির দামই ৬০ টাকার ঘরে। ৫০ টাকার নিচে মিলছে হাতেগোনা কয়েকটি সবজি। এদিকে হঠাৎ বেড়েছে আলুর দাম। ঈদের আগে কমতে থাকা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। মাছ-মাংসও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বন্দরনগরীর বাজারে।

 

গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগরীর অক্সিজেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরাবাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজার দরের এই চিত্র। এদিন নগরে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে শুধু টমেটো, শসা, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া। এরমধ্যে শসা কেজি ৩০ টাকা, লাউ কেজি ২৫ কেজি, টমেটো কেজি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ও গাজর কেজি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ, শিম ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এর বাইরে পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স এবং পটল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বরবটি আর শিমের বিচি। এছাড়াও কাকরোল ১৬০ টাকা কেজি এবং করলা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

 

সবজির বাড়তি দামের বিষয়ে নগরীর অক্সিজেন এলাকার ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাইকারি দরে কিনে খুচরায় বিক্রি করি। পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণেই খুচরায়ও দাম বাড়ছে। তবে এখন শীতের সবজি নেই বললেই চলে, আবার গ্রীষ্মকালীন সবজিও আসছে কম।’

 

এদিকে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধির কথা বললেও তাতে সায় দেননি বাণিজ্যপ্রতিমন্ত্রী। তাই এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। নগরে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা এবং প্রতি ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

ঈদের আগে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আলুর দামও বেড়ে গেছে কেজিপ্রতিতে ১৫ টাকা। উৎপাদন কমার অজুহাতে পাইকারিতে সবজিটির দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রভাবেই এই মূল্যবৃদ্ধি। অন্যদিকে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। গতকাল নগরীর বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এ দুই মসলাজাত পণ্য। এছাড়াও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

 

ঈদের আগে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এখনও অস্থির মাছ-মাংসের বাজার। বৃহস্পতিবার (গতকাল) ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আকার ভেদে পাঙ্গাস ১৮০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, রুই ২৬০-৩২০ টাকা, স্যালমন ফিশ ৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, রুপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে ৫৫০-৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০-৬৫০ টাকা, টেংরা ৩৭০ টাকা এবং নারকেলি মাছ ২৫০ টাকা, পোয়া মাছ ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট