৩ এপ্রিল ২০২০। ওইদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয় প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম নগরীতে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর। সেই ঘোষণার পর পেরিয়ে গেছে চারটি বছর। কিন্তু এখনও বিভীষিকাময় দিনটির কথা মনে উঠলে আঁতকে উঠেন অনেকে। কারণ করোনা মহামারী অনেক মানুষের জীবনকে করেছে বিপর্যস্ত। ফেলেছে দিশেহারা অবস্থায়। পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা, নানা ধরনের গুজব, কোন ওষুধ বা টিকা না থাকায় করোনা নিয়ে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহর থেকে গ্রামে।
অভিশপ্ত করোনাভাইরাসে শুধু চট্টগ্রামেই প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ জন। যাদের মধ্যে ছিলেন পৃথিবীকে আলোকিত করা এবং মানবসমাজের জন্য কল্যাণকর কাজ করা অনেক মনীষীও। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দেন চট্টগ্রামের ৩০ চিকিৎসক, পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী, ব্যবসায়ীসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধা; এমনকি বাদ যায়নি শিশুরাও। এসব মৃত্যু যেমন কাঁদিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষকে, তেমনি নিহতের পরিবারের জন্য বয়ে এনেছে অপূরণীয় ক্ষতি। যে ক্ষতি কখনও পূরণ হবার নয়। যে ক্ষতি নিয়ে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা সন্তানরা আজও তার প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়ান।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি :
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মহামারী করোনার রোগী শনাক্ত হয় সিলেটে। আর ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম রোগটি ধরা পড়ে। নগরীর দামপাড়ার বাসিন্দা মো. মুজিবুল হক ছিলেন করোনায় আক্রান্ত চট্টগ্রামের প্রথম রোগী।
চট্টগ্রামে করোনা : এক নজরে
হ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল ২০২০
হ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয় ১১ এপ্রিল
হ এ পর্যন্ত আক্রান্ত ১,২৯,৬৭৩ জন
হ মৃত্যু : ১৩৭১ জন
হ সুস্থ : ১,২৮,৩০২ জন
দেশে করোনার সর্বশেষ চিত্র
হ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ ২০২০
হ প্রথম আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ১৭ মার্চ ২০২০
হ এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২০,৪৯,৫৬০ জন
হ মৃত্যু : ২৯,৪৯৩ জন
হ সুস্থ : ২০,১৬,৯১৪ জন
পূর্বকােণ/এসএ