চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

শুঁটকি মহালে ব্যস্ত শ্রমিকেরা

৩৫ নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর তীরে বাকলিয়া ক্ষেতচর বস্তিতে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। নগরীর শুঁটকি আড়ত আছদগঞ্জে যাচ্ছে এসব শুঁটকি। প্রতি মৌসুমে কোটি টাকার শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

শ্রমিকেরা জানান, ‘৯১ সালে সীমিত আকারে মাচান বানিয়ে এখানে শুঁটকি বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত বাঁশখালী উপজেলার গৃহহীন কয়েকজন জেলে এই কাজ শুরু করেছিল। শুরুতে ৪-৫টি মাচান বানিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত শুরু হলেও বর্তমানে ছোট-বড় শতাধিক মাচান রয়েছে। এসব মাচান থেকে মাসে প্রায় ৩-৪শ টন শুঁটকি যায় নগরীর শুঁটকি আড়ত আছাদগঞ্জে। নদী ও সাগর থেকে আহরিত মাছ সহজ পথে এনে শুঁটকি তৈরিতে খরচ তুলনামূলক কম পড়ে। ।

বাঁশখালী উপজেলার জলদী এলাকার নিধন বড়–য়া জানান, ‘৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। কাজ-কর্ম না থাকায় সংসারে চরম অভাব-অনটন দেখা দেয়। এ দুর্দিনে চাচার হাত ধরে নগরীর বাকলিয়া শুঁটকি পল্লীতে আসি। শুঁটকি তৈরির কাজ শুরু করি। এখন নিজেই মাচান বানিয়ে শুঁটকি তৈরি করছি। এখন তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

দেখা যায়, কয়েকশ শ্রমিক কাজে ব্যস্ত রয়েছে। মহিলারা শিশুদের নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করছেন। বিভিন্ন মাচানে রংমিশিয়ে শুঁটকি বানাতেও চোখে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, বেশির ভাগ পঁচা-নষ্ট মাছ এনে শুঁটকি করা হয়।
আগের তুলনায় মাছ কমে গেছে। লাক্ষ্য, রূপচাঁদা, বড় ছুরি শুঁটকির মতো দামী শুঁটকি এখন আর প্রক্রিয়াজাত করা হয় না। দু-একটি মাচান মালিক সীমিত আকারে এসব মাছ আনে। এখানে শুধু ছুরি, লইট্ট্যা, পোয়া, ফাইস্যা মাছ শুকানো হয়। দামী মাছ শুকানোর মতো মূলধন অনেক ব্যবসায়ীদের নেই। কারণ দুই থেকে তিন লাখ টাকার বেশি দাদন পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে এসব মাচান বানানো হয়েছে। এক বছর মেয়াদী ভাড়ায় জায়গা নেওয়া হয়। জায়গার পরিসীমা ভেদে ৩০-৪০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। তবে এসব জায়গা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা। প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে এসব জায়গা ভাড়া দেয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট