চট্টগ্রাম রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

ভিসির বাসভবন ও পুলিশ বক্সে ব্যাপক তাণ্ডব-অগ্নিসংযোগ, ৫০টি বাস ভাঙচুর

চবি সংবাদদাতা

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৭:৫০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছে ২০ জন। এর মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ড থেকে আইসিউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

 

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আইসিউতে স্থানান্তর করা ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন- আমজাদ হোসেন সোহাগ, খলিলুর রহমান এবং অংসইনু মারমা। এছাড়া নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাইজুল ইসলাম, আবু সাইদ, সান আহমেদ, রাফসান ও আসলাম।

 

এর আগে, রাত থেকে এ ঘটনায় উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় তারা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান। পাশাপাশি বক্সের ভেতরের চেয়ারগুলো রাস্তায় এনে জ্বালিয়ে দেন। রাত ১১টার দিকে উপাচার্য বাসভবনের ভেতরে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে গিয়ে ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা।

 

পরিবহন দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নূরুল আবছার বলেন, ভেতরে থাকা সব গাড়িতেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অধিকাংশেরই কাচ, ফ্লাডলাইট ও বডিতে আঘাত করা হয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে থাকা ২২টি বাস ও ১৬টি মাইক্রোবাস, একটি মোটরবাইক ও প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ট্রেন ক্যান্টেনমেন্ট স্টেশন অতিক্রম করার কিছু পর রেললাইনের ওপর হেলে পড়া একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৬ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। পরিবহনের কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। শিক্ষক ক্লাবে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। রেলের বগিতে আগুন জ্বালানো হয়েছে, পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার সাধারণ ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখানে নিশ্চয়ই জননেত্রী শেখ হাসিনাবিরোধী চক্র জামায়াত-শিবির ও বিএনপির অ্যাজেন্ডা ছিল। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে তারা।

 

তিনি আরও বলেন, যারা আহত হয়েছেন, আমরা তাদের জন্য দুঃখিত, মর্মাহত। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ছেলেমেয়েরা যাতে ছাদে না ওঠেন, সে জন্য রেলের বগি বাড়ানোর জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব।

 

পূর্বকোণ/রায়হান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট