নগরীতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পশুর হাট। মূলত কতিপয় কাউন্সিলরদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব হাট বসেছে। যার কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। অপরদিকে, আবাসিক এলাকা পুঁতিগন্ধময় হচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন থেকে নয়টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমোদন পেলেও দুইটি বাজারে ইজারাদার পায়নি চসিক। হাট দুইটি হলো ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ এবং একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। অন্য হাটগুলোতেও দর পেয়েছে অন্য বছরের তুলনায় কম। ইজারাদাররা সিটি কর্পোরেশনের হাটগুলোর প্রতি আগ্রহ হারানোর অন্যতম কারণ এসব অবৈধ হাট।
সরেজমিন পরিদর্শন এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নগরীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে বৈধ হাটের সংখ্যা ১০ হলেও অবৈধ হাট অন্তত ১০ গুণ বেশি। কতিপয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গরু বেপারিদের সাথে যোগসাজস করে এসব হাট বসিয়েছে। কোন কোন ওয়ার্ডে একাধিক অবৈধ হাট বসানো হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বারুনিস্নান ঘাট, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বজ্র ঘোনা এলাকা, চর চাকতাই, ঝাউতলা বাজার, ফইল্যাতলি বাজার, লালখান বাজারের চানমারি রোড, সরাইপাড়া ১২ নং ওয়ার্ড কলকা সিএনজির পাশে, ১০ নং উত্তর কাট্টলী সূফী মাঈনউদ্দীন শাহ মাজারের পাশের মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়টি অবৈধ হাটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসংখ্য অবৈধ পশুর হাট বসেছে। কাউন্সিলরদের যোগসাজস থাকার কারণে এসব হাটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। এমনকি সিটি কর্পোরেশন নিজেও কঠোর হয় না। তবে মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে কিছু অবৈধ হাটের মালিককে জরিমানা করা হয়।
তবে খামারিদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, অবৈধ হাটের পাশাপাশি নগরীতে কিছু গরুর খামারি তাদের খামারে উৎপাদিত কোরবানির পশু গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া বিক্রি করছে। নিজস্ব খামারে উৎপাদিত পশু নিজের খামার থেকে বিক্রিতে বাধা নেই। এই সুযোগে বেপারিরাও যত্রতত্র পশুর হাট বসিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও সিটি মেয়রের পিএস মুহাম্মদ আবুল হাশেম পূর্বকোণকে জানান, অবৈধ হাটের বিষয়ে মেয়র সবসময় কঠোর। অবৈধ হাটের কারণে সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গরুর আবর্জনার কারণে এলাকা পুঁতিগন্ধময় হচ্ছে। তাই অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। অভিযান আরো বেগবান করা হবে।
পূর্বকোণ/এসি