চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবার দুটি বাজারে ইজারাদার পায়নি। হাট দুটি হল ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের খেজুরতলা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালি মাঠ এবং একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। তাই স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে নগরীতে ১০টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। অন্য হাটগুলোতেও দর পেয়েছে অন্য বছরের তুলনায় কম। নতুন করে দরপত্র আহ্বানের সময় না থাকায় যে হাটে যেভাবে দর পড়েছে তাতেই রাজি হতে বাধ্য হয়েছে চসিক।
চসিক সূত্র জানায়, নগরীতে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দেয় সিটি কর্পোরেশন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯টি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু অনুমোদন দেয়া হয় অনেক দেরিতে। সিটি কর্পোরেশন তাড়াহুড়ো করে দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু ৯টি হাটের মধ্যে ৭টি হাটের জন্য ইজারাদার পেলেও কাক্সিক্ষত মূল্য পায়নি। দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বানের সুযোগ পাচ্ছে না। তাই দুটি হাটের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বাকি হাটগুলোও কম দামে ইজারা দিচ্ছে।
চসিকের স্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী হাটগুলো হলো- ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কর্ণফুলী গরু বাজার (নূর নগর হাউজিং এস্টেট)। এই হাটের জন্য ৫টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দরদাতা হলেন সাইফুল আলম। এই হাটের সরকারি মূল্য ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৩ টাকা। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠের জন্য দরপত্র পড়ে ৩টি। এখানে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা দরদাতা ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী। এই হাটের সরকারি দর ছিল ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠের জন্য দরপত্র পড়েছে ৪টি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ লাখ ৫১ হাজার টাকা দরদাতা হলেন মো. নুরুল আবছার। একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠের জন্য শুধুমাত্র হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দর দিয়েছেন। ২৬নং ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠের জন্য দরপত্র পড়েছে ৩টি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা দরদাতা হলেন আলী আজগর সোহেল। ৩ নং ওয়ার্ডস্থ ওয়াজেদিয়া মোড়ের জন্য ৩ টি দরপত্র জমা পড়েছে, তার মধ্যে মো. জাহিদুল ইসলাম জাহেদ সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দর দিয়েছেন। ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ আউটার রিং রোড সিডিএ বালুর মাঠের জন্য ৩টি দরপত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫ লাখ টাকা দর দিয়েছেন মো. আসলাম।
পূর্বকোণ/এএইচ