চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায়’ ফের আন্দোলনে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১:৪১ অপরাহ্ণ

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৮১ দিন পর আন্দোলন স্থগিত রেখে ক্লাসে ফিরেন। কিন্তু সাতদিন না পেরোতেই দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ার অভিযোগে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ইনস্টিটিউটটের ফটকে তালা দিয়ে তারা অবস্থান নেন।

 

আন্দোলনরত চারুকলা ইন্সটিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আসার এক সপ্তাহেও কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্লাসরুম, ডাইনিং, বাথরুম সংস্কার করতে পারেনি। সুতরাং আমরা এখন মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে অবরোধে নেমেছি। এখন আমাদের আর কেউ আশ্বস্ত করতে পারবে না। আমাদের এবারের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

এর আগে ২১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওই সময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। বিপরীতে পুনরায় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। তবে ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভবন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা খোলা মাঠে ক্লাস করার ঘোষণা দেন।

 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগম বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পূরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসের সংস্কার কাজ করতে গেলে সেখানে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এমনকি তারা প্রকৌশলীকেও কাজ না করতে হুমকি দিয়েছে। সর্বশেষ আজ সকালে শিক্ষক-কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে আসলে তাদের মূল ফটকে আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে বাধ্য হয়ে তারা ক্যাম্পাস থেকে ফিরে যান। বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করছি তারা শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন দাবি মানতে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে ২২ দফা দাবি পরিবর্তন করে হঠাৎ মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা এক দাবিতে রূপ নেয়। মূল ক্যাম্পাস ছাড়া তাদের এই ২২ দফা দাবির সবগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে ১১ বছর ধরে দৃশ্যমান কোন সংস্কার কিংবা অগ্রগতি তারা দেখেননি। তাই মূল ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা আর থাকতে চান না বলে দাবি তোলেন।

 

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট