চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

অনুমতি ছাড়া পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ: ডেসটিনি পরিচালকসহ ৪ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ নভেম্বর, ২০২২ | ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

অনুমতি ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের মামলায় ডেসটিনির পরিচালকসহ চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

আজ রবিবার (৬৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাহবুবুল ইসলাম।

 

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কোম্পানি অ্যান্ড কো-অপারেটিভের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কনফিগার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, ‘বেস্ট ওয়েস্টার্ন ডেসটিনি বিচ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার দাস ও প্রজেক্ট প্রকৌশলী মাজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর-রশিদ বলেন, ‘আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই। কাগজপত্রও হাতে পাইনি। তবে হোটেলের বিষয়টি দেখভালে কক্সবাজারে একটা দল পাঠানো হয়েছে।’

 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে সৈকতের পাশে ২০০৬ সালে কনফিগার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ‘বেস্ট ওয়েস্টার্ন ডেসটিনি বিচ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ নামে একটি নয়তলা ও আরেকটি চারতলা ভবন নির্মাণ করে। জানা গেছে, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত আমলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জমিতে হোটেল-মোটেল তৈরির জন্য ১০০ প্লট বরাদ্দ দিয়ে বিএনপি নেতারা ভাগাভাগি করে নেন। সে সময় এ প্রকল্প ‘বিএনপিপল্লী’ তকমা পায়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪৯টি প্লটের ইজারা বাতিল করে। ১৪ নম্বর প্লটের এক একর জমিতে ২০০৬ সালে ডেসটিনি পাঁচতারকা আবাসিক হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু করে।

 

২০১২ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অনুমোদনহীন ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ভবন নির্মাণে জড়িত পরিচালকসহ চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা মেনে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এখনও তা বন্ধ রয়েছে। এরপর ওই বছরের ১৪ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ডেসটিনির সম্পদের রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এর মধ্যে রাজধানীতে থাকা ডেসটিনির সম্পদ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এবং বাইরের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন জেলার পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টরা।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট