চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড়কাটা রোধে পুলিশী অভিযান

নাজিম মুহাম্মদ

২৮ জুলাই, ২০২২ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

গত কয়েক মাস ধরে নগরীর আকবরশাহ থানার হারবাতলি ও ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে নির্মাণ কাজ করছে পাহাড় খেকোরা। তাদের আইনের আওতায় আনতে থানা পুলিশ চলতি মাসে পাহাড়কাটার সময় হাতে নাতে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর বাদী হয়ে থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। উদ্ধার করেছে কোদাল, খুন্তিসহ পাহাড় কাটার নানা সামগ্রী। হারবাতলিতে পাহাড় কাটায় জড়িত স্থানীয় জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকার বসবাসরত প্লট মালিক ও সদস্যরা। ইস্পাহানি সি গেট এলাকায় পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে বিক্রি করছিল ফটিকছড়ির বাসিন্দা জসিম উদ্দিন।

গত মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটায় আকরবশাহ থানার হারবাতলী জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকা থেকে পাহাড় কাটার সময় হাতে নাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাহাড় কাটার অপরাধে আট জনকে এজাহারভূক্ত আসামি করে এস আই ধীমান মজুমদার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, আকবরশাহ হারবাতলী জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকার পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করছিল ওই আবাসিকের কয়েকজন সদস্য। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।

থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জয়ন্তিকা আবাসিক উন্নয়ন পরিষদের প্লট মালিক ও সদস্যদের নির্দেশে সেখানে পাহাড় কেটে প্লট তৈরির কাজ চলছিল। অভিযানে পাহাড় কাটা সময় হাতেনাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, নুরুল ইসলাম (৬৫), জাফর আহম্মদ (৬০), মো. হাতিম (৪৭), মো. জামাল (৪৫), জসিম উদ্দিন (২৫), মো. ইয়াছিন (২৩) ও মুক্তার হোসেন (৭০)। এ সময় পাহাড় কাটায় নেতৃত্ব দেয়া সিদ্দিক মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, জয়ন্তিকা আবাসিক উন্নয়ন পরিষদের প্লট মালিক ও সদস্যরা মূলত পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করছিল। সিদ্দিক মিয়া শ্রমিক নিয়ে পাহাড় কাটার কাজ করছিল। দীর্ঘদিন ধরে আকবরশাহ থানার ইস্পাহানি সি গেট গোলপাহাড় শিপিং মাঠের কালাম পল্লীর পেছনে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করছিল ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বোনের জামাই জসিম উদ্দিন। গত ৫ জুলাই শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটছিল জসিম। খবর পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার পাঁচ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে।

জসিমের বাড়ি থেকে পাহাড় কাটার কোদাল, খুন্তিসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন মো. শহীদ (৩২), আলমগীর হোসেন (৩৫), মো. সেলিম (৩২), মো. সবুজ (২৬) ও মো. বাহার (৫৬)। এ সময় পাহাড় কাটার মূল হোতা জসিম দুই সহযোগী আবু নোমান, লিটনকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

আকবরশাহ থানার পরিদর্শক ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, পাহাড় কাটায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলতি মাসে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে। দুই মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পলাতক জসিম ও নোমানের বিরুদ্ধে এর আগেও পাহাড় কাটার অপরাধে থানায় মামলা রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট