চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

জটিলতা কাটতেই ৫ বছর

ইমরান বিন ছবুর

২৮ জুলাই, ২০২২ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়া, দু’পক্ষের মামলা ও ১০ তলা ভবন নিয়ে জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন আটকে ছিল বাকলিয়া এক্সেস রোড প্রকল্প। তিন জটিলতার কারণে প্রায় পাঁচ বছর আটকে থাকা প্রকল্পটির জট খুলেছে অবশেষে। সব জটিলতা কাটিয়ে বাস্তবায়নের পথে এই প্রকল্প।

নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোড থেকে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক (পুরাতন বাকলিয়া থানা) পর্যন্ত দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার এই সড়কটি চালু হলে যাতায়াতে সময় ও খরচ সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাকলিয়া এক্সেস রোডের প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোডের বর্তমান কাজে অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ। ভূমি অধিগ্রহণ করতে না পারা, মামলা জটিলতা ও ১০ তলা ভবন নিয়ে জটিলতায় কারণে প্রকল্পটি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পে যে মামলা ছিল তা ভূমি মালিকদের নিজেদের মধ্যে। জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা থাকায়, নিজেরাই মামলা করেছে। ফলে দীর্ঘদিন সিডিএ ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। আবার অনেক ভূমি মালিকের জমির কাগজপত্র ঠিক না থাকায় আমরা রেজিস্ট্রিও নিতে পারছি না। রেজিস্ট্রি হওয়ার আগে তো আমরা কাউকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারি না। এসব জটিলতা কাটিয়ে এখন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে।

জানা যায়, নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোড হতে শাহ আমানত সংযোগ সড়ক পর্যন্ত দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার এই সড়কের মাঝে একটি দশতলা ভবনের কারণে প্রকল্পটি আটকে ছিল। প্রথমদিকে সড়কের মাঝে অবস্থিত ভবনটি ভেঙে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়কটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সড়কটি ভবনের উত্তর পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে। সিডিএ কনসালটেন্ট নিয়োগ করে উভয় পাশে (উত্তর ও দক্ষিণ) নিয়ে যেতে নতুন করে দু’টি ডিজাইন করেছে। যেদিকে সুবিধা হয়, সেদিকে যাতে নিয়ে যেতে পারে। দু’টি ডিজাইন সিডিএ চুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমকে দেখায়। চুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম সড়কে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উত্তর পাশে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়ে ডিজাইন চূড়ান্ত করে দিয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে এলাইনমেন্ট (নকশা) পরিবর্তনের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের করা সুপারিশের অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দেয় বলে জানান প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ। ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর কোনো বাধা থাকছে না।

উল্লেখ্য, বাকলিয়া এক্সেস রোডের প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, নগরীর সিরাজুদ্দৌল্লা রোড থেকে পুরাতন বাকলিয়া থানা পর্যন্ত ২২০ কোটি টাকার প্রকল্প বাকলিয়া এক্সেস রোড। ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রাথমিকভাবে ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সিডিএ এবং ভবনের ক্ষতিপূরণ বাবদ ভবন মালিককে প্রায় ১৪ কোটি টাকা দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। যা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়। নগরীর ডিসি রোড এলাকায় বাবে ইউসুফ নামের ১০ তলা ভবন নির্মাণ করেছে হাজি চান্দমিয়া সওদাগর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এতে মোট ৩৬ টি ফ্ল্যাট রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট