চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

ফাঁসিয়াখালীতে শান্তিপূর্ণ উপ-নির্বাচন সম্পন্ন

নৌকার প্রার্থী গিয়াস বিজয়ী জামানত হারিয়েছেন ৭ প্রার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা , চকরিয়া-পেকুয়া

২৬ জুলাই, ২০১৯ | ২:২৮ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পূর্ণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন ধরে নারী-পুরুষরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার মার্কার প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে। এবার নিয়ে তিনি টানা চারবার এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাসহ সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়তে চেয়ারম্যান পদ থেকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী পদত্যাগ করায় শূন্য পদটিতে বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ হাজার ১০জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে ৯টি কেন্দ্রে ৩২টি বুথ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ১জন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশের ৫ সদস্য এবং ১২জন আনসার নিয়োগ ছাড়াও পুলিশ-বিজিবি’র একাধিক টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করেন। ওইসময় একজন জুডিশিয়াল ও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে ছিলেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল বেলায় আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল

ছিলো। ভোর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে শত শত নারী-পুরুষ নিজ নিজ ভোট প্রয়োগ করতে লাইন ধরে। দুপুরে প্রথমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ভোটারদের। বৃষ্টিতে ভিজেও মহাআনন্দে ভোট প্রয়োগ করেছে তারা। মোহাম্মদ রিপনসহ একাধিক ভোটার বলেন,অতিতের ভোটের চেয়ে এবারের ভোট ছিলো উৎসবমুখর। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থী প্রতি ভোটারের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনার মাধ্যমে এই ইউনিয়নে নতুন নজির সৃষ্টি করেছেন। যা অতীতে কোনসময় হয়নি। এতে ভোটাররা নিজেদের সম্মানিত মনে করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো.মতিউল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া দৃষ্টি ও ব্যাপক প্রস্তুতি ছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে ভোটের আগেরদিন থেকে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলায় ঘটেনি অনাকাংখিত কোন ঘটনা। ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ।
রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১০জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করেছেন ১০ হাজার ৮৮৯জন। ভোট প্রয়োগের হার প্রায় ৭৩ শতাংশ। প্রয়োগকৃত ভোটের মধ্যে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাত স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতিকের মো.ফরিদুল আলম (ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি) ৯৭৪ ভোট, আনারস প্রতিকের মাইন উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেদ (জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক) পেয়েছেন ৯১১ ভোট। অপর ৫ প্রার্থী কেউই ৫০ ভোটের বেশি পাননি। প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে বিজয়ী নৌকা প্রার্থী ছাড়া অপর সাত স্বতন্ত্র প্রার্থী সবাই জামানত হারিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট