চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী আঁচ আইসোলেশন সেন্টারেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ জুলাই, ২০২১ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী শনাক্তের হার। যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন সব রেকর্ড। হাসপাতাল ছাড়িয়ে এসব রোগী এখন ভর্তি হচ্ছেন আইসোলেশন সেন্টারে। তবে এখন ঠাঁই নেই আইসোলেশন সেন্টারেও। বিদ্যানন্দের ৭০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারে এখন ভর্তি ৭১ জন। আর রোগী ভর্তির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যানন্দ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, প্রতিদিন দু’তিনজন করে রোগী ভর্তি হচ্ছেন সিটি কর্পোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারেও। তবে রোগীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও প্রচারের অভাবে কম রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। চলতি বছরে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ এপ্রিল ফের চালু করা হয় বিদ্যানন্দ হাসপাতাল। নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বিটাক মোড় এলাকায় প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতাল চালু করা হয়। শুরুতেই যেখানে ৬০ শয্যা এবং গত শুক্রবার ৭০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়। সীমিত সংখ্যক রোগী নিয়ে যাত্রা করলেও এখন আর নতুন রোগী ভর্তির জন্য সিট নেই। অন্যদিকে, গত ৬ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু হয়েছে। নগরীর লালদিঘির দক্ষিণ পাড়ে চসিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে এ আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়। জানতে চাইলে বিদ্যানন্দ হাসপাতালের সমন্বয়ক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, প্রথমদিকে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ৬০ শয্যা বিশিষ্ট এ  আইসোলেশন সেন্টারকে গত শুক্রবার ৭০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হয়। তবে বর্তমানে ৭১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। একজন রোগী ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বর্তমান ভর্তিকৃত রোগী আইসোলেশন সেন্টার থেকে ছাড় না পেলে নতুন কোন রোগী ভর্তি করোনার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। চসিক আইসোলেশন সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী বলেন, আইসিইউ ছাড়া সব সুবিধা রয়েছে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে। তাছাড়া, সব করোনা রোগীর তো আইসিইউ প্রয়োজন নেই। ৫০ সিটের আইসোলেশন সেন্টারে মাত্র ১৩ জন ভর্তি কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. মো. মুজিবুল আলম বলেন, হয়তো প্রচারের অভাবে রোগী আসছে না। তবে আমরা আশা করছি আগামীতে রোগী আসবে। আমাদের এখানে যেহেতু পর্যাপ্ত সেবা ও সুবিধা রয়েছে। তাই যেসব করোনা রোগী সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের একটি অংশ চাইলে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারে বিনামূল্যে সেবা নিতে পারেন বলে জানান তিনি। বিদ্যানন্দ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৭০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে সার্বক্ষণিক দুইজন অভিজ্ঞ কনসালটেন্ট, ১০ জন ডাক্তার, ৮ জন নার্স, ৩০ জন ভলান্টিয়ার সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, ওষুধ, ল্যাব, টেস্ট, খাবার, এম্বুলেন্স সবকিছুই বিনামূল্যে রোগীরা পাচ্ছেন। এছাড়াও, রয়েছে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা ও অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর। ২৮০ স্কয়ার ফুটের প্রতিটি কক্ষে তিনটি বেড রয়েছে। কভিড টেস্ট, ল্যাব টেস্ট ও এক্সরে করানোর জন্য রোগীকে বাইরে কোথাও যেতে হয় না। অন্যদিকে চসিকের আইসোলেশন সেন্টার সূত্র থেকে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারে বর্তমানে ১৩ রোগী ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, এ পর্যন্ত মোট ৮০ জনের মত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আইসোলেশন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মোট ১২ জন ডাক্তার এবং ১৪ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। রুটিন মাফিক তারা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট