চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

খুন করে মধ্যপ্রাচ্যে আত্মগোপন, পাঁচবছর পর দেশে পাকড়াও

রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা

১২ জুন, ২০২১ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় নৃশংস খুনের শিকার সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. ইকবাল হোসেনের দুর্ধর্ষ খুনি মো. মামুনকে (২৮) পাঁচবছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনিরা ইকবালকে খুনের পর কয়েক টুকরো করে লাশ পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়েছিল। প্রায় ১৫ দিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার পর সে মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে পোমরা ছাইনি পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

মামুন পোমরা ইউনিয়নের ছাইনি পাড়া গ্রামের মেরা মিয়ার ছেলে। আর নিহত ইকবাল (২৫) পোমরা ইউনিয়নের রোসাইপাড়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই বিকেলে গ্রেপ্তার মামুন ও তার সহযোগী মো. সৈয়দ, নবীর হোসেন বুলেট, জাহেদুল ইসলাম ও আলমগীর ফরাজী একই এলাকার সিএনজি চালক ইকবাল হোসেনকে ঘর থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে উত্তর পোমরা গ্রামের মইত্যাতলী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তারা ইকবালকে জবাই করে হত্যা করেন। এরপর হাত পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন। পরে লাশের শরীরে এসিড ঢেলে ক্ষতবিক্ষত করেন। ২ আগস্ট স্থানীয় কাঠুরিয়ারা জঙ্গলে হাত পা ও মাথাবিহীন লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশটি ইকবালের বলে শনাক্ত করে পরিবার।

ওসি মাহবুব মিল্কি বলেন, ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলে পরবর্তীতে মামুন প্রবাসে পালিয়ে যান। অপরাপর আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ইকবালকে তারা পোমরা ছাইনিপাড়া নিয়ে গিয়ে কৌশলে মদ পান করায়। পরবর্তীতে গহীন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন আদালতে। মামুন ঘটনার পরপরই পালিয়ে বিদেশ চলে যান। সম্প্রতি দেশে আসলেও আত্মগোপনে থাকে।

নিহতের বোন রিনা আকতার বলেন, খুনি মামুনসহ অপরাপর খুনিরা মামলা তুলে নিতে আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। ভাইকে আর ফিরে পাবনা জানি, কিন্তু আমার ভাইয়ের খুনিদের যথাযথ বিচার হলেই আমরা শান্তি পাব।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট