চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঈদের পর রসুনের দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ২০ টাকা

পাইকারিতে বেড়েছে লবঙ্গ পেঁয়াজ রসুনের দাম

ইফতেখারুল ইসলাম

৩১ মে, ২০২১ | ১:২৩ অপরাহ্ণ

কয়েকদিনের মধ্যে মসলার তিনটি আইটেমের দাম বেড়ে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন এবং লবঙ্গ। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা নেই। একেকজন একেক কারণ দেখাচ্ছেন। ঈদের পর পাইকারি বাজারে রসুনের দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ২০ টাকা। সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে লবঙ্গের দাম। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশে লবঙ্গের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তারপরও কেন দাম বেড়েছে তা তাদের জানা নেই। কেউ কেউ বলেছেন মাস তিনেক আগে সরকার লবঙ্গের উপর কেজিতে ২০৪ টাকা শুল্ক বসিয়েছে। তবে দাম বেড়েছে ঈদের পর। ঈদের আগে পাইকারি বাজারে লবঙ্গের দাম বেড়ে কেজি ৮২০ টাকা হয়। এরপর ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা সেদিকে ছুটে। তখন লবঙ্গের দাম ৭৬৫ টাকায় নেমে আসে। ঈদের তিন দিন পর তা ৯৬০ টাকায় উঠে আসে। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কোন পণ্যের দাম বাড়লে সবাই ওই পণ্যের পেছনে ছুটে। তাই দাম আরো বেড়ে যায়।

এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার কারণে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল রবিবার পেঁয়াজের পাইকারি দর ছিল ৪০ টাকার উপরে। যা তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও মিয়ানমার এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির সুযোগ আছে। মিয়ানমার থেকে অনেকেই পেঁয়াজ আমদানি করছে। যেহেতু নৌপথে আনতে হচ্ছে তাই একটু সময় লাগছে। তবে কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে। কারণ কৃষকের হাতে এখনো পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ আছে।
এদিকে, বেড়েছে রসুনের দামও। ঈদের আগে পাইকারি বাজারে চীন থেকে আমদানিকৃত রসুনের কেজি ছিল প্রায় ১০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২২ টাকায়। যা ঈদের আগে ১০০ টাকা ছিল।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট