চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভায় অভিমত

সকল সংস্থার সমন্বিত প্রয়াসে নিরসন হতে পারে জলাবদ্ধতা

৩১ মে, ২০২১ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, দীর্ঘদিনেও চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন না হওয়ার পেছনে প্রধানত দায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা। এছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। তবে এ মুহূর্তে একে অপরের দোষারোপ না করে সমন্বয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের এ সমস্যার নিরসন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  বক্তারা বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী, তা খুঁজে বের করে সমাধানের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসাসহ প্রধানতম সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে সবাই সোচ্চার হয়ে এগিয়ে এলেই জলবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব। একই সাথে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে যদি এখনই পরিকল্পিত কাজ শুরু করা যায়, তাহলে  জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসা সম্ভব।

গতকাল রবিবার সকালে পূর্বকোণ সেন্টারের আলহাজ ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘চট্টগ্রামের দুঃখ জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার কর্তৃক গৃহীত মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তাগণ এ মন্তব্য করেন।  আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি স্থায়ী পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক পূর্বকোণ এর পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুরের সঞ্চালনায় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. শেখ সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়–য়া, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি প্রকৌশলী এস এম শহীদুল আলম, বাংলাদেশ-মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এস. এম নুরুল হক, কমিটির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আলহাজ¦ মো. নুরুল আলম, আহমেদ রেজা।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প হাতে নিলেও দুর্ভাগ্যজনক হল, প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে। যা নগরবাসীকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। নগরবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য পরিকল্পিত ও কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সভায় অন্য বক্তারা বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বরাদ্দের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৭শ’ কোটি টাকাও খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুফল দৃশ্যমান হয়নি। জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পেলেও তা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বক্তাগণ বলেন, এ প্রকল্পে পরিকল্পনার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, বন্দর, বিদ্যুৎসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার যৌথ সমন্বয় থাকার দরকার থাকলেও তা নেই। তাই এ পর্যায়ে এসে এ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে প্ল্যানিং, ম্যানেজমেন্ট ও মেইনটেনেন্স এ তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে। অথচ যাদের সক্ষমতা নেই তাদের মধ্যেই উপ-চুক্তি (সাব কন্ট্রাক্ট) দিয়ে খন্ডিত বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে এ প্রকল্পে। সক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে তা কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য তাও আমাদের ভাবা উচিত।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট