কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে (১৮) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. উসমান গণি নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দীনপাড়া থেকে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুবুল ইসলাম ভূঁইয়ার
। ৭ম পৃষ্ঠার ৭ম ক.­

নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটক উসমান গণি একই এলাকার মৃত শফি আলমের ছেলে।
পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াকুবুল ইসলাম বলেন, ওই গার্মেন্টস কর্মী ১০-১২দিন আগে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। গত শুক্রবার বিকেলে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে তাকে কৌশলে সিএনজি চালিত ট্যাক্সিতে তুলে নেয় উসমান গণি। সিএনজি ট্যাক্সি করে তাকে একই ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকার নির্জন এলাকার লবণ মাঠের একটি টং ঘরে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আটকে রাখে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে উসমান গণি। পরে ওই গার্মেন্টস কর্মীর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে ধর্ষক উসমান গণি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ওসমান গণিকে গতকাল রবিবার আটক করা হয়।
আটক যুবক উসমান গণির ভাই রমিজ উদ্দিন বলেন, আমার ভাই অত্যন্ত সহজসরল ব্যক্তি। তিনি পেশায় লবণ চাষী। অত্যন্ত পরিশ্রম করে তিনি ঘরসংসার চালায়। সম্প্রতি তার বিয়ের জন্য আমার পরিবার থেকে পাত্রী খোঁজ করা হচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল আমার পরিবার ও আমার মামা রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূরের সম্মানহানি করতে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়েকে দিয়ে এ কা- ঘটিয়েছে। আমার ভাই নির্দোষ। তিনি ঘটনার শিকার। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মী থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত উসমান গণিকে আটক করে। আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট পেলে অভিযোগের সত্যতা জানা যাবে।