বিসিআইসি’র মালিকানাধীন কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ কেপিএম লিমিটেড থেকে রাতের আঁধারে পুরাতন স্ক্র্যাপ যন্ত্রাংশের আড়ালে নতুন মালামাল পাচারের সময় চ্যালেঞ্জ করে যন্ত্রাংশ ভর্তি তিনটি ট্রাক আটক করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবীসহ শ্রমিক কর্মচারীরা। ট্রাক তিনটি বর্তমানে কাপ্তাই থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি। এসব মালামালের মূল্য অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। তবে কেপিএম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এম এম এ কাদেরের কাছে এবিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বুধবার গভীর রাতে কেপিএম’র গেইট পাশ ছাড়া এসব মালামাল পাচারের সময় চ্যালেঞ্জ করে আটক করা হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও কেপিএম কর্তৃপক্ষ। ত্রিপলে মোড়ানো মালামাল ভর্তি ট্রাক তিনটিতে পুরাতন স্ক্র্যাপের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ চকচকে নতুন ব্লেড ও নানা ধরণের নতুন যন্ত্রাংশ থাকায় সন্দেহ আরো ঘণিভূত হয় প্রশাসনসহ স্থানীয়দের মাঝে। মিলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গতকাল দিনভর ট্রাক তিনটি ছাড়িয়ে নিতে দৌঁড়ঝাঁপ করলেও এসব মালামাল টেন্ডারে বিক্রির বিষয়ে বিসিআইসি’র বোর্ড সভার কোন অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা।
কাপ্তাই থানার এসআই মো. খলিল জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন গেইটপাশ ও গাড়ি ভর্তি মালামালের বৈধ কোন কাগজপত্র তাৎক্ষণিক দেখাতে পারেনি। এসময় স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজনের ওপর চড়াও হলে ট্রাক ভর্তি মালামাল সহ তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, কর্ণফুলি পেপার মিলস থেকে মালবাহী ৩টি ট্রাক আটক করে স্থানীয়রা। যেখানে চকচকে নতুন প্যাকেটকৃত লোহার ব্লেড ও মালামাল রয়েছে। এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেন। এসময় পুলিশের কাছে উপস্থাপনকৃত কাগজপত্রে কেপিএম কর্তৃপক্ষ বিসিআইসি’র অনুমোদিত কোন কাগজ দেখাতে পারেনি বলে জানান তিনি।