চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

পৌঁছাতে চাই ব্যবসায়ীদের ভরসার জায়গায়: জসিম উদ্দিন চৌধুরী
বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল লিডার এস. এম. নুরুল হকসহ নেতৃবৃন্ধ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের মতবিনিময়

পৌঁছাতে চাই ব্যবসায়ীদের ভরসার জায়গায়: জসিম উদ্দিন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ১:৫৮ অপরাহ্ণ

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি, দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং আসন্ন চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা আওয়াজ তুলবো। তাদের সমস্যার সমাধান করবো। ব্যবসায়ীরা নিশ্চয়তা চায়। আমরা সেই ভরসার জায়গায় পৌঁছাতে চাই। ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হলে তাদের সেই আকাক্সক্ষা পূরণ করবো। চট্টগ্রাম চেম্বারের জন্য যে দুর্নাম ছড়িয়ে গেছে তা মুছে হারানো সুনাম ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

 

গতকাল রবিবার পূর্বকোণ সেন্টারের ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাথে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

 

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুরের সঞ্চালনায় সভায় সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের লিডার এস. এম. নুরুল হক সভাপতির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামে ব্যবসায়িক পরিবেশ নাই। ব্যবসা না হলে চট্টগ্রাম বন্দর এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ট্যাক্স নিয়ে নানা হয়রানিতে পড়তে হয়।

 

এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। চট্টগ্রাম চেম্বারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তি সেবা আনা হবে। একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা সুফল পায়। ব্যবসায়ীরা যেন সহজে তথ্য যাচাই ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারি তা নিশ্চিত করতে চাই। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বারে একটি এক্সিবেশন সেন্টার তৈরি করতে চাই।

 

তিনি আরো বলেন, অতীতে যারা চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্বে ছিল, তারা ব্যবসায়ীদের জন্য কিছুই করেনি। যা করেছে নিজের স্বার্থে করেছে। পারিবারিক চেম্বার গড়ে তুলেছে। আমরা সেই ধারা অব্যাহত থাকতে দেব না। আমরা নিজের উন্নয়নে নয়, ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করবো। ভোটারের ভোটে চেম্বারের নেতৃত্বে আসলে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানীর ঘোষণায় আন্দোলন চট্টগ্রাম চেম্বার থেকেই ডাকা হবে।

 

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক নূ ক ম আকবর হোসেন, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মো. আরিফ হোসেন, মো. আবচার হোসেন, মো. কামরুল হুদা, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কাজী ইমরান এফ. রহমান, এসএম কামাল উদ্দিন, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী, মোহাম্মদ মুছা, সৈয়দ নাসির উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল আলম, স্থপতি আশরাফুল ইসলাম সোভন প্রমুখ।

 

সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই চট্টগ্রামের উন্নয়নে চট্টগ্রাম চেম্বারের গুরুত্ব রয়েছে। চেম্বারকে বিশ্বমানের সংগঠনে রূপান্তর করতে আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করব। সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামে। কিন্তু সেই বন্দরের লভ্যাংশ থেকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কোন লেভি পাওয়া যায় না। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের দুঃখ ওজন স্কেল। এটি বড় একটি সমস্যা। সড়কে নিরাপত্তা নেই। গাড়ি থেকে মালামাল চুরি হয়। প্রতিবাদ করা যায় না। পুলিশ মামলা নেয় না। উল্টো ব্যবসায়ীকেই মামলায় জাড়িয়ে ফেলে।

 

আক্ষেপ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্যরা ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। কোটা পদ্ধতি রচনা করা হয়েছিল। এবার যেন কেউ কোটায় নেতৃত্বে আসতে না পারে সেদিকে সচতেন ব্যবসায়ীদের খেয়াল রাখতে হবে। চট্টগ্রামে ট্যুরিজম সম্ভাবনা আছে। সেটি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। চট্টগ্রাম চেম্বারে একটি রিসার্চ সেল গঠন করা দরকার।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট