কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বদরখালীর আব্দুল জব্বারের ছেলে মিজানুর রহমান ২০০১ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন। যাওয়ার পর দীর্ঘ দুই দশক ধরে মিজানুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেননি।
গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানে করে ঢাকায় আসেন মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি এলোমেলোভাবে ঘুরছিলেন। তিনি স্বজনদের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। কোথায় যাবেন বলতে পারছিলেন না। এ ধরনের ঘটনায় পরিবারের সন্ধান পেতে ব্রাকের সহায়তা নেন। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি ও পাসপোর্ট দিয়ে তার পরিবারের খোঁজ পেলেন মিজান।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে ঢাকার আশকোনায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন সেন্টার থেকে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ব্রাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমানের ভাই রেজাউল করিম ও আরেক আত্মীয় আমির হামজা তাকে নিয়ে রাতেই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, শনিবার তাকে আশকোনায় ব্র্যাকে আনা হয়। মিজানুর শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁর বাম পায়ে গভীর ক্ষত। মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। পাসপোর্টে জরুরি যে নম্বর দেওয়া আছে সেই নম্বরে ফোন করে আমরা জেনেছি সেটি পরিবারের কারো নম্বর নয়। বরং যে দালাল পাসপোর্ট করে দিয়েছিল তার নম্বর। চট্টগ্রামের পুলিশকে ছবি ও পাসপোর্টের বিস্তারিত জানাই। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি ও পাসপোর্ট দিয়ে তাঁর পরিবারের খোঁজ করি। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। এক পর্যায়ে দুবাই থেকে ওসমান গনি নামে একজন ফোন দিয়ে জানান মিজানুর তাদের ভাই।
মিজানুরের আত্মীয় আমির হামজা জানান, দীর্ঘ দুই দশক ধরে মিজানুরের সাথে পরিবারের যোগাযোগ নেই। কখনো দেশে আসেননি। সৌদি আরবে গাড়ি চালাতেন। তাদের বাড়ি চকরিয়ার বদরখালী। ছেলের শোকে মিজানুরের বাবা মারা গেছেন। মা বেঁচে আছেন। তারা ছয় ভাই। মিজানুরকে দেখার জন্য মা অস্থির হয়ে আছেন।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ