প্রবল বর্ষণে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। আজ (মঙ্গলবার) থেকে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিন বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাস। তবে বন্ধের সময়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে বিভিন্ন পর্ষদের প্রতিনিধিবৃন্দের এক সভায় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ভোররাতে অতিবৃষ্টির কারণে চবিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘরের দেয়াল ভেঙে একজনের মাথা ফেটে গেছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনটি ফতেয়াহাবাদ এলাকায় রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় আটকে যায়। যার কারণে শহর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সময় মতো ক্লাসে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় চবির শিক্ষার্থীরা ভাড়া বাসা ও মেসে থাকেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম শহর ডুবে যাওয়ায় তারা ক্যাম্পাসে আসতে পারছেন না। এতে ক্লাস ও পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি পাহাড় ধসে সড়কে গাছ ভেঙে পড়েছে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে ত্রুটি দেখা গেছে।
এছাড়া সোমবার (গতকাল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শাহী কলোনি এলাকায় পাহাড় ধসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীর বসতঘর ভেঙে গেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. হানিফ আহত হয়েছেন। তিনি (মো. হানিফ) শাহি কলোনির যে বাসায় থাকতেন, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ (স্টেট) বিভাগ থেকে ভাড়া নেয়া। দুই বছর ধরে তিনি সেখানে আছেন।
মো. হানিফ বলেন, যখন পাহাড় ধস হয়, তখন তারা সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের টিনের ছাদে গাছ উপড়ে পড়ার বিকট শব্দে তার ঘুম ভাঙে। তখন ঘরের দেয়াল ভেঙে গিয়ে একটি ইট তার হাতে এসে পড়ে। এ সময় তিনি তার আট বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুন মুনতাহাকে জড়িয়ে ধরেন। পরে আরও ইট গায়ের উপর পড়তে থাকে। ইটের স্তূপ, মাটি ও আসবাবের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন তিনি।
পূর্বকোণ/মাহমুদ