চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আষাঢ়ে বৃষ্টি নেই, বাতাসে আগুনের হল্কা

সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জুন, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

আষাঢ় মাস মানেই ঘনঘোর বর্ষা। অথচ আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়, বৃষ্টির কোন দেখাই নেই। মাঝেমধ্যে সামান্য একটু বাতাসের গতিবেগ থাকলেও তাতে আগুনের হল্কা। যুগযুগ ধরে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে আসলেও বিগত কিছুদিন থেকেই প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যার কারণে তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। অনেকেই এই তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অফিস বলছে, এমন তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে। তবে বৃষ্টি হলে গরম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ছিলো ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকলেও বিকেলে তা কমে দাঁড়ায় ৭৬ শতাংশে। এর আগের দিন চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৩.৪ ডিগ্রি

সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ছিলো ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতেই বুঝা যায়, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। দিন দিন এ মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া ছন্দে না ফেরার কারণে ভর আষাঢ়ে ভাদ্র্র মাসের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। দিনে তীব্র রোদ আর রাতে ভ্যাপসা গরম। অথচ আষাঢ় মানেই বাংলাদেশের ঋতুতে ঝর ঝর বৃষ্টি।
এদিকে, আবহাওয়ার এই তারতম্যের কারণে নগরীর প্রতিটি ঘরে ঘরেই রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তণের কারণেই এ প্রকোপটা বেশি। যার কারণে শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই জ¦র, সর্দি কাশিসহ ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তাপমাত্রার এমন প্রতিক্রিয়ার কারণে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান পূর্বকোণকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া অপরিবর্তিত। তবে এখন পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে। আগামী দুই/একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তা না হলে তাপমাত্রা এমনই থাকবে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট