নারায়ণগঞ্জ শহরে মসজিদে বিস্ফোরণে থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬।
আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মৃত্যুর এ সংখ্যার কথা জানিয়েছেন।
ইনিস্টিটিউ সূত্র জানায়, শনিবার সকাল পর্যন্ত ১১ জন মারা গেছেন। তবে দগ্ধ হয়ে যারা এখানে ভর্তি আছেন তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়। বেশিরভাগেরই পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি।
নিহতরা হলেন- রিফাত, যুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহীম, জুয়েল, সাব্বির, দেলোয়ার হোসেন, জামাল,জুনায়েদ ও কুদ্দুস ব্যাপারী।
এর আগে গভীর রাতে জুয়েল নামের সাত বছরের এক শিশু মারা যায় বলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিশ্চিত করেছিলেন। শিশুটির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মসজিদটির ইমাম ও মুয়াজ্জিন, ফটো সাংবাদিক, জেলা প্রশাসনের একজন কর্মচারীসহ ৩৭ জনকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণে মসজিদের ৬টি এসি পুড়ে গেছে এবং জানালার কাচও বিস্ফোরণে উড়ে গেছে।
গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এশার জামাত শেষ হওয়ার পর তল্লার সবুজবাগের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসির বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৭ জন গুরুতর দগ্ধসহ মসজিদে সুন্নত নামাজ আদায়রত সবাই দগ্ধ হন।
পূর্বকোণ/পিআর