চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে চমেক ছাত্র সংসদের প্রো-ভিপি ইন্টার্ন চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন: মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. খোরশেদুল ইসলাম (২৫), ইমন সিকদার (২৫), ফয়সল বিন জাহাঙ্গীর (২৫), সৌমিক বড়–য়া (২৪), ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ দাশ (২৩), ফাহাদুল ইসলাম (২৩), মো. হোজাইফা বিন কবির (২৩), কনক দেবনাথ (২২), জামশেদুল আলম (২৩)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮০/৯০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের সকলেই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আদালতের আদেশে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া পূর্বকোণকে বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ আদালতে অভিযোগ করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়। আদেশের কপি থানায় আসার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে গত ১৩ জুলাই একই ঘটনায় ১১ চিকিৎসকসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নওফেলের অনুসারী মো. খোরশেদুল ইসলাম। মামলার আসামীরা ছিল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই সকালে চিকিৎসা সামগ্রী দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করার সাথে সাথে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের মাধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয় বলে দাবি করা হয়।
পূর্বকোণ/পি-আরপি