চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই করোনার কারণে ভোট পেছানোর সুযোগ নেই : আ. লীগ প্রার্থী রেজাউল

মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে সিইসির মতবিনিময়

আমরা ২০ শতাংশ লোকের মেয়র হতে চাই না : বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ, ২০২০ | ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইনের কোনো বিধানেই নেই ইভিএমে ৫ থেকে ১০ শতাংশ রিজার্ভ ভোট থাকে। রিজার্ভ ভোট কখনোই ছিল না। ১ শতাংশ অন্ধ, প্রতিবন্ধী, হাত নেই এমন ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়। যা কোথাও কোথাও প্রয়োজনও হয়নি। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই। বহিরাগত ঠেকাতে ইভিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে মেয়র প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনের ৯৫ শতাংশ কাজ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন তাকে সহায়তা করেন। সাতজনের মধ্যে থেকে একজন মেয়র হবেন। একজন নগরের উন্নয়নে কাজ করবেন। সবাই মিলে সহযোগিতা ও সহনশীলতা দেখালে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিধিমালা সঠিকভাবে ফলো করলে বিশৃঙ্খলার সুযোগ থাকবে না। ভোটার স্লিপের কথা আচরণবিধিতে উল্লেখ থাকলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা এই স্লিপ ব্যবহার না করতে বলছেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ভোট পেছানোর সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ করা হলে ভালো হয়।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের উপ-নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ দেখে আমরা শঙ্কিত। আমরা ২০ শতাংশ লোকের মেয়র হতে চাই না। ৭০-৮০ শতাংশ লোকের মেয়র হতে চাই। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৫ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট রিজার্ভ রেখে দেন। এই ৫ শতাংশ ভোট কেন রাখা হচ্ছে। দুই হাত নেই, দুই চোখ নেই, ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারে না এমন ভোটারের জন্য ১ শতাংশ ভোট রাখলেই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে যেহেতু বহিরাগত ঢুকে, সেজন্য ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কেউ যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এটি করলেই একজনের ভোট আরেকজন দিচ্ছে সেটি বন্ধ হবে। এছাড়াও ইভিএমের ব্যালট প্যানেল তিন ফুট দূরে বসানোয় অন্য কেউ ভোটের বাটনে ক্লিক করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যখন ক্ষমতায় থাকেন তখনই আচরণ বিধি তৈরি করেন। আমাদের কিছু করণীয় নেই, আমরা শুধু বাস্তবায়ন করে থাকি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করে প্রচারণা চালানোর জন্য মেয়র প্রার্থীদের অনুরোধ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জান। বক্তব্য রাখেন, মেয়র প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ হোসেন খান, চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট