চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লাহোরে কেন পারছে না বাংলাদেশ ?

স্পোর্টস ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তান সফরে টি- টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ প্রায় পুরো শক্তির দল নিয়ে একের পর এক খাবি খাচ্ছে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে জেতা বহুদুর, এতটুকু লড়াইও করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মুস্তাফিজরা। অথচ প্রায় এই দলটিই গত নভেম্বরে ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রায় সমানতালে লড়ে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের উদ্ভাসিত জয়ের রেকর্ডও আছে। সাকিব তো আগে থেকেই নেই।

নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় ঝুলে মাঠের বাইরে, কিন্তু সাকিব ছাড়াও ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে উজ্জীবিত বোলিং আর উদ্যমী ব্যাটিংয়ের মিশেলে রোহিত শর্মার ভারতীয় বাহিনীকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াদের দল। এবার সেই দলের মুশফিকুর রহিম শুধু নেই, বাকি সবাই অছেন। যারা আছেন, তারা আরও শানিত এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও বেশী ম্যাচ খেলে এখন আরও ভাল ফর্মে। বিপিএলে সবাই রান করে গেলেন। লিটন, আফিফ, তামিম, সৌম্য- সবার ব্যাট কথা বলেছে। হেসেছে, চার ছক্কার নহর বয়েছে। দেশি ও বিদেশি বোলারদের বিপক্ষে কম-বেশি ভাল ভাল ইনিংস উপহার দিয়েছে। দল জেতানো ব্যাটিংও করেছেন প্রায় সবাই। সেই তারাই পাকিস্তান গিয়ে ব্যর্থতার ঘানি টানছেন। এক ম্যাচে দল ১৪১ এ- গিয়ে থেমেছে। পরেটিতে ১৩৬ এই শেষ। এত কম রান করে আজকাল টি-টোয়েন্টি জেতা যায় না।

যেমন, পিচেই খেলা হোক না কেন, আজকাল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অন্তত দেড়শো বা ১৬০’র কম স্কোর গড়ে জেতা কঠিন। তাই বাংলাদেশ দুই ম্যাচের একটিতেও পারেনি। প্রথম দিন ৭ উইেকেটে আর পরের খেলায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছেড়েছে। কেন এই না পারা? এর উত্তর দিয়েছেন, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, ‘ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট জ্বলে উঠতে পারছেন না। বোর্ডে রান নেই। যে পরিমাণ রান থাকলে লড়াই করা সম্ভব এবং পাকিস্তানীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া সম্ভব, লড়াই করা যায়, সেই পরিমাণ রান হয়নি। দুই ম্যাচে আমরা ১৪০ ও তার নিচে থাকছি। ওই রান করে জেতা আসলে অসম্ভব। অন্তত ১৬০ থেকে ১৭০ রান করতে না পারলে ওদের মাটিতে পাকিস্তানীদের চাপে ফেলা এবং জয়ের সম্ভাবনা জাগানো খুব কঠিন।’ প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা, ‘বিপিএলে আমাদের ক্রিকেটাররা যে গড়পড়তা বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করেছে, পাকিস্তানের বোলিয়ের মান তার চেয়ে ভাল ও ধারালো। এটা একটা কারণ।’ এর বাইরে নান্নু লাহোরের উইকেট এবং আবহাওয়ায় অনভ্যস্ততাকেও পারফরমেন্স ভাল ও উজ্জ্বল না হবার কারণ বলে মন্তব্য করেন। নান্নু যোগ করেন, ‘আমাদের এই দলের এক তামিম ছাড়া আসলে পাকিস্তানের কন্ডিশন সম্পর্কে কারো ধারনাই নেই। এখানে একেকদিন আকাশ ও আবহাওয়া দুই রকম। একদিন একটু রোদ, আর অন্যদিন একদম ঘন কুয়াশায় ঢাকা। উইকেটও তাই। একদিন স্লো আর একদিন তুলনামূলক দ্রুত গতির। ম্যুভমেন্টও ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা তার সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি।’ পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ১৩৭-১৪০ বা ১৪২ করে জেতা সম্ভব নয়। এখন বোলারদের জয়ের মত পুঁজি গড়ে দিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। এই কাজটি আগের দুই ম্যাচে হয়নি। দেখা যাক, আজ শেষ ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারেন কি না? অন্তত ১৬০ থেকে ১৭০ রান করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট