চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিউক্লিয়াস ও ছাত্রলীগ থেকে বিএলএফ বা মুজিববাহিনী

নাওজিশ মাহমুদ

১২ এপ্রিল, ২০২০ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

নিউক্লিয়াস ও ছাত্রলীগ ছিল অবিছেদ্য। ছাত্রলীগের নেতারা নিউক্লিয়াস গড়ে তোলেন। নিউক্লিয়াসের নেতারা ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। যে ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মুসলিম ছাত্রলীগ নাম দিয়ে গড়ে উঠে। সেই ছাত্রলীগ মুসলিম জাতীয়তাবাদের বিপরীতের বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারক হয়ে উঠে। ক্রমবিবর্তনে সেই ছাত্রলীগ হয়ে উঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রধান সক্রিয় সংগঠন। ছাত্র লীগকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করার মূল কারিগর এই নিউক্লিয়াস। মুক্তিযুদ্ধ ছিল এই নিউক্লিয়াসের ও ছাত্রলীগের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতেন, নার্সিং করতেন এবং নেতৃত্ব ঠিক করে দিতেন। অপরদিকে নিউক্লিয়াসের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই তাঁদের কর্মকা- পরিচালনা করতেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সোহরাওয়ার্দীর (১৯৬৩) মৃত্যুর পর রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিল না কি করবে। বঙ্গবন্ধু দুই অর্থনৈতিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফাকে সমন্বিত করে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা পেশ করে। এই ৬ দফাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে নতুন মেরুকরণ ঘটে। এই মেরুকরণে ৬ দফার পক্ষে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই নিউক্লিলয়াস। ছাত্রলীগ আন্দোলন সৃষ্টির মাধ্যমে ৬ দফাকে যেমন জনপ্রিয় করে তোলে, তেমনি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনকে গণঅভ্যূত্থানে রূপান্তরিত করে। এই রূপান্তরের মূল কারিগর ছিল নিউক্লিয়াস। যা বাস্তবায়ন করে ছাত্রলীগ। সেই সাথে শ্রমিকদের যে ভূমিকা ছিল ৬ দফা আন্দোলনে তার সিংহভাগ কৃতিত্ব এই নিউক্লিয়াসের।
বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্য নিয়েই নিউক্লিলয়াস নিরবচ্ছিন্ন কাজ করতে থাকে। ১৯৬২ সালে সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ মিলে নিউক্লিয়াস গঠন করেন। চট্ট্রগামের এম এ মান্নান ও যশোরের প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির নেতা আবুল কালাম আজাদ যুক্ত হলেও পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে তুমুল ছাত্র আন্দোলন হয়। সেই ছাত্র আন্দোলনে কোন রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বাঙালির শিক্ষা সংকোচন নীতিরে বিরুদ্ধে এই আন্দোলন ছাত্র সমাজের মধ্যে পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে যেমন ক্ষোভের সৃষ্টি করে, তেমনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর একধরনের হতাশাও কাজ করে। সামরিক শাসক আইউব খানের বিরুদ্ধে বাঙালি ছাত্রদের এই আন্দোলনে ছাত্রদের মনে পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে। সেই ভাবনা থেকে নিউক্লিয়াসের জন্ম।
নিউক্লিয়াসের ৩ সদ্যসর দুইজনই ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সিরাজুল আলম খান ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু শেখ মনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সিরাজুল আলম খান ১৯৬১ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩-৬৫ সাল এবং ১৯৬৫-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬৫ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হন। ১৯৬২ সালে যে তিনজনকে নিয়ে নিউক্লিয়াস গঠিত হয় সকলেই ছিলেন ছাত্রলীগের গুরত্বপূর্ণ নেতা।
তিনজনের এই গোপন উদ্যোগ নিউক্লিয়াস হিসেবে খ্যাতি পেলেও প্রকাশ্যে নামকরণ করা হয়েছিল স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। পরে নামকরণ হয় বেঙ্গল রিবারেশন ফোর্স বা বিএলএফ। মুখপত্র হিসবে “বিপ্লবী বাংলা” নামে একটি অনিয়মিত প্রচারপত্রও প্রকাশিত হত। নিউক্লিয়াস সুকৌশলে ছাত্র লীগের নেতৃত্ব নিজেদের দখলে রাখতো। ৬ দফা পেশ করার পূর্ব পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর (১৯৬৩) পর আওয়মী লীগ তখন দিকনির্দেশনাহীন এবং একক নেতৃত্বে অভাবে ভুগছিল। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা থাকলেও নেতৃত্বের অভাবে আওয়ামী লীগ পথহারা পাখির মত। আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি অংশ এনডিএফ (ন্যাশান্যাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) থেকে যান। আবুল মনসুর আহমদের মত নেতারা সকলে নিষ্ক্রিয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করে আব্দুর রশীদ তর্কবাগিশকে সভাপতি করে নিজে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে রাজনীতি শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আব্দুস সালাম খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সিনিয়র রাজনীতিবিদদের একটি অংশ ৬ দফা বিরোধী পিডিএম গঠন করে।
সেনাশাসক আইউব খান পাকিস্তানের সমস্ত ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানে কেন্দ্রীভূত করে ফেলে। বাঙালি রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে। গোটা বাঙালি সমাজ বন্ধা ও স্থবির। ঐ পরিস্থিতিতে ১৯৬২ সালে গঠিত নিউক্লিয়াস কর্মসূচির অভাবে বিস্তৃত হতে পারছিল না। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৯৬৬ সালে লাহোরে সর্বদলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের সভায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাজউদ্দীন মিলে দাবী করেন কর্মসূচিতে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন দাবী অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। সভা এই দাবী মানতে অস্বীকার করলো। তার পরেই ১৯৬৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু লাহোরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ৬ দফা দাবী জাতির কাছে পেশ করে। পরের দিন এম এ আজিজ চট্টগ্রাম জেলা আওযামী লীগের জরুরী সভা ডেকে ৬ দফা অনুমোদন করে বিবৃতি দেন। জহুর আহমদ চৌধুরী লাহোরে বঙ্গবন্ধুর সাথেই ছিলেন।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে দলের অভ্যন্তরে ৬ দফার বিরোধীতার সম্মুখীন হলেন। শুরু হয় রাজনীতির নতুন মেরুকরণ। দলের অবস্থা শোচনীয়। অধিকাংশ জেলা কমিটি নিষ্ক্রিয়। অথবা কমিটিই নাই। তার বিপরীতে ভাসানী ন্যাপ ও মোজাফ্ফর ন্যাপ সুসংগঠিত। সুসংগঠিত জামাতে ইসলাম নেজামে ইসালম ও খেলাফতে রব্বানী পার্টি। ৬ দফা সব দলের বিরোধীতার সম্মুখীন হলো। সকল বামসংগঠন মার্কিন ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করলেন।
৬ দফা সিআইএর রচিত বলে প্রচার করতে থাকলেন। ইসলামপন্থীরা বললেন পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য ভারতীয় কর্মসূচী। তার সাথে চললো সরকারের প্রচ- দমননীতি। দলের অবস্থা যেমন নড়বড়ে, তেমনি ৬ দফার পক্ষে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। ঐ সময়ে ৬ দফার পক্ষে দাঁড়ালো শুধু নিউক্লিয়াস এবং তাঁদের প্রভাবে ছাত্রলীগ ও শ্রমিকদের একাংশ। বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন জেলে চলে যাওয়ার পরও ১৯৬৬ সালের ৭ জুন হরতালের আহ্বানের মাধ্যমে সরকার ও সকল রাজনৈতিক দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মধ্য দিয়ে নিউক্লিলয়াস প্রথম তার রাজনৈতিক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। শ্রমিকনেতা মনু মিয়া নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে সফলভাবে হরতাল পালিত হয়।
৬ দফার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় সরকার দিশেহারা হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রধান আসামী করে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রত্যাহারের দাবীসহ আইউব খানের পদত্যাগের পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডাকসুর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনয়িনের দুটি অংশ ও এনএসএফএ একটি অংশ মিলে ছাত্রসংগ্রাম গঠন করে। ১১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করে। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠন ও ১১ দফা কর্মসূচি প্রণয়নের নেপথ্য কারিগর ছিল এই নিউক্লিয়াস। এই আন্দোলন ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে ডাকলেন আইউব খান। আইউব খান পরবর্তী নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, ঘোষণা দিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আলোচনা নিরর্থক। বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে (সাময়িক) মুক্তি দিতে রাজি হলেন সরকার। বঙ্গবন্ধু প্রথমে রাজী হলেন কিন্তু নিউক্লিয়াস, চট্ট্রগামের এম এ আজিজ এবং বেগম মুজিব বিরোধীতা করেন প্যারোলে মুক্তির। সরকার বাধ্য হয়ে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিলেন। রেসকোর্স ময়দানে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়ে বরণ করে নিলেন। সেখানেও নিউক্লিয়াসের ভূমিকা নেপথ্য কারিগরের। জেল থেকে বঙ্গবন্ধু বের হলেই নিউক্লিয়াস সম্পর্কে তাঁকে বিস্তারিত জানানো হয়।
ঊনসত্তরের ছাত্রলীগের সম্মেলনের নিউকিলয়াসপন্থী তোফায়েল-রব ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হলেন। এরপরই নিউক্লিয়াস অর্থনৈতিক কর্মসূচি সমাজতন্ত্রকে গ্রহণ করে। এই সমাজতন্ত্রকে কেন্দ্র করে দলের ভিতর নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে তাজউদ্দীন এবং চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ছাড়া আর কেউ সমাজতন্ত্রে বিশ^াস করতো বলে মনে হয় না। ছাত্রলীগে সমাজতন্ত্র বিরোধীরা শেখ মনির নেতৃত্বে একত্রিত হয়। তাঁর প্রভাব পড়ে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবং ডাকসু নির্বাচনে। ছাত্রলীগের সম্মেলনের নুরে আলম সিদ্দ্কিী (নিউক্লিয়াস বিরোধী) সভাপতি এবং শাহজাহান সিরাজ সাধারণ সম্পাদক (নিউক্লিয়াসপন্থী) নির্বাচিত হন। ডাকসু নির্বাচনে দুই গ্রুপের দু’জন ডাকসুর সহ-সভাপতি আ শ ম রব (নিউক্লিয়াসপন্থী) ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন (নিউক্লিয়াস বিরোধী) পদে নির্বাচিত হন। সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে জয়লাভের পর ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ভুট্টো ও পাঞ্জাবীচক্রের বিরেধীতায় নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় বাঙালি জাতি এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পাকিস্তানের ক্ষমতা অথবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্ন দুটি সামনে চলে আসে। নিউক্লিয়াস দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতাকে সামনে রেখে কর্মকা- পরিচালিত করতে থাকে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর ভিপি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম গঠিত হয়।
এই সময় জয়বাংলা শ্লোগান উদ্ভাবন করে নিউক্লিয়াসের সদস্যরা। জনগণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। পরে এই শ্লোগানটি জাতীয় শ্লোগানে হিসেবে পরিণত হয়। জাতীয় পতাকাও এই নিউক্লিয়াস কর্তৃক নির্ধারিত হয়। ২ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা পতাকা ডাকসুর সহ-সভাপতি আ শ ম রব ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ^বদ্যিালয়ের বটতলায় সভায় উত্তোলন করেন। তখন পতাকায় পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র আঁকা ছিল।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় এই পতাকা বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। স্বাধীনতার পর এই পতাকা থেকে মানচিত্র তুলে দিয়ে বর্তমান রূপ দেয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে আমার সোনার বাংলা গানকে নিউক্লিয়াস গ্রহণ করে। যদিও এর পূর্বে আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও আমার সোনার বাংলা গানটি গাওয়া হত। নিউক্লিয়াসের এই সকল উদ্যোগকে বঙ্গবন্ধু অনুমোদন দেন। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষে স্বাধীনতার ইশতেহার পড়েন। (আগামী রবিবার সমাপ্য)

নাওজিশ মাহমুদ রাজনীতি বিশ্লেষক
ও কলামিস্ট।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট