চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কূটনৈতিক ফ্রন্টে মুক্তিযুদ্ধ

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী

৬ এপ্রিল, ২০২০ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

তখন মুক্তিযুদ্ধ মাত্র শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি কোথায়, তিনি বেঁচে আছেন, না তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে, সেটা কেউ জানেন না। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী, বিশেষ করে সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, কামারুজ্জামান এবং যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ, ছাত্র নেতৃবৃন্দ- আ.স.ম. আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন- যার পক্ষে যেভাবে যেখানে সম্ভব হয়েছে, সুবিধা মত আত্মগোপন করেছেন, কারো খবর কেউ জানেন না।
আক্রান্ত হয়ে বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন এবং যেখানে যেভাবে সম্ভব ইতস্ত, বিক্ষিপ্তভাবে প্রতিরোধ ব্যুহ গড়ে তুলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ভবিষ্যৎ কি, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব কে দেবেন, মুক্তিযুদ্ধ কিভাবে গড়ে উঠবে-এ বিষয়গুলো তখনো অনিশ্চিত এবং অনির্ধারিত। এমনি অবস্থায় দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত দু’জন বাঙালি কূটনীতিক পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করলে মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও গতি সঞ্চারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রচার পেয়ে যায়। বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, আকাশবাণী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যখন এ খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়, তখন সংশয়াচ্ছন্ন মুক্তিযোদ্ধারা উল্লসিত হয়ে উঠেন, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে শত্রু হননে মেতে উঠেন। দুই কূটনীতিকের নাম হলো-দিল্লি পাক হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিব কে.এম. শিহাবুদ্দিন এবং প্রেস অ্যাটাশে আমজাদুল হক।
শিহাবুদ্দিন সাহেব চট্টগ্রামের অধিবাসী। কূটনৈতিক ফ্রন্টে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে তিনি চট্টগ্রামের জন্য আরেকটি গৌরবময় ইতিহাস রচনা করেন। অধিকৃত বাংলাদেশ ভূ-খ-ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয় এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচারও চট্টগ্রাম থেকেই আরম্ভ হয়েছিল।
পাকিস্তানি ফরেন সার্ভিস (পিএফএস)-এর ১৯৬৬ ব্যাচের এই কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে দ্বিতীয় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। হাই কমিশনে এসিস্ট্যান্ট প্রেস এ্যাটাশে পদে কর্মরত তাঁর বাঙালি সহকর্মী আমজাদুল হককে নিয়ে শিহাবুদ্দিন একাত্তরের ৬ এপ্রিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধের কূটনৈতিক ফ্রন্ট খোলেন। বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালি জাতি, যারা তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তাদের ওপর কামান, ট্যাংক, মেশিনগান, রিকয়েললেস রাইফেল ইত্যাদি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে ঝাঁপিয়ে পড়ার তার থেকে বাংলাদেশে মানবেতিহাসের ঘৃণ্যতম ও নিষ্ঠুরতম গণহত্যাযজ্ঞ চালিযে যাচ্ছে, এ খবর পেয়ে দিল্লিতে বসেও শিহাবুদ্দিন শিউরে উঠেছিলেন। তরুণ কূটনীতিকের রক্তে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠলো। স্থির করলেন, অসহায়, বিপন্ন দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবেন। অতঃপর ইতিহাস সৃষ্টির ক্ষণ-রাত ১২টা, স্থান নয়াদিল্লীর গ্রেটার কৈলাসে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সিনিয়র সাংবাদিক দিলীপ মুখার্জির বাড়ি। সেখানে স্বল্প সময়ের নোটিশে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনে কে.এম শিহাবুদ্দিন ঘোষণা করলেন, “ডব যধাব ংবাবৎবফ ড়ঁৎ পড়হহবপঃরড়হ রিঃয ঃযব ভধংপরংঃ সরষরঃধৎু ফরপঃধঃড়ৎংযরঢ় রহ ওংষধসধনধফ, ধং ড়ঁৎ ঈড়হংপরবহপব হড় ষড়হমবৎ ঢ়বৎসরঃং ঁং ঃড় ধপঃ ধমধরহংঃ ড়ঁৎ ফববঢ়বংঃ ঈড়হারপঃরড়হং. ঋৎড়স হড়ি ড়ঁৎ ধষষবমরধহপব রং ঃড় ইধহমষধফবংয, যিরপয ফবৎরাবফ রঃং ধঁঃযড়ৎরঃু ভৎড়স ঃযব ঁহধসনরমঁড়ঁং সধহফধঃব ড়ভ ঃযব ৭৫ সরষষরড়হ ইবহমধষর ঢ়বড়ঢ়ষব.”
ঐ সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ পরিবেশনের জন্য সে রাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি, এএফপি, তাস, পিটিআই, ইউএনআই এবং ক’টি ভারতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি। সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ-বোমা, যে বোমা ইয়াহিয়ার অপারেশন সার্চলাইটের চেয়েও প্রচ- গর্জনে বিস্ফোরিত হয়েছে, সেই বোমা নিয়ে তারা ছুটলেন স্ব স্ব অফিসে। ইতিহাস সৃষ্টি করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতে সৃজ্যমান ইতিহাসের হাতে সমর্পিত হলেন শিহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত মহিউদ্দিন আহমদ, যিনি নিজেও পরবর্তী সময়ে লন্ডনে পাকিস্তানি হাইকমিশন থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি ২২ চৈত্র ১৪১৭ বঙ্গাব্দে দৈনিক জনকণ্ঠে ‘একাত্তরের কূটনৈতিক ফ্রন্টের ৪০ বছর” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত তাঁর এক নিবন্ধে লিখেছেন, “আমার জানা মতে, নিজ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ঘৃণা-ধিক্কার প্রকাশ করার এমন একটি ঘটনা দুনিয়ার ইতিহাসে আগে আর কখনও ঘটেনি।”
শিহাবুদ্দিন জানতেন না তাঁর মাতৃভূমি কখন স্বাধীন হবে, কিংবা আদৌ হবে কিনা। তা সত্ত্বে শিহাবুদ্দিন সেই অচিন্তনীয়, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতে নিজেকে সাঁপ দিয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ১৯৭১-এর ৬ এপ্রিল তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যও ঘোষণা করেন। তাঁর রণসঙ্গী হন এসিস্ট্যান্ট প্রেস অ্যাটাশে আমজাদুল হক।
তিনি যখন এ বিদ্রোহ করলেন, ভারতের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার তখনো গঠিত হয়নি (মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল আর শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল)। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ তখন কোথায কেউ জানে না। পরবর্তী সময়ের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বা মন্ত্রিসভার সদস্য মনসুর আলী বা এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের খোঁজও তখন কারো জানা নেই।
সারা বিশ্বে কেউ তখন জানতে পারছিলো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছেন, নাকি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করেছে। একসময় বাংলাদেশে পাক বাহিনীর ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের খবর যখন সারাবিশ্ব ছড়িয়ে পড়ছিলো, তখন এমনও মনে হয়েছিলো যে, বঙ্গবন্ধু হয়তো পাক সেনাদের হাতে নিহতই হয়েছেন।
১৯৭১-এর এপ্রিলের গোড়ার দিককার সেই চরম অনিশ্চয়তাপূর্ণ ক্রান্তিকালে কে এম শিহাবুদ্দিন ও আমজাদুল হক পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সদ্য ঘোষিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে গতি সঞ্চার করেছিলেন। সে সময়ে তাঁদের কর্মকা- এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিলো। তাঁরা সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কূটনৈতিক অঙ্গনেও বিস্তৃত হয়েছে।
অতঃপর শিহাবুদ্দিন এবং আমজাদুল হকের প্রদর্শিত পথ দ্রুতই অনুসরণ করলেন, কলকাতায় পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশনের সকল বাঙালি কূটনীতিবিদ এবং স্টাফ, বাঙালি ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলীর নেতৃত্বে, মাত্র ১২ দিন পর ১৮ এপ্রিল। কে.এম. শিহাবুদ্দিন এবং আমজাদুল হকরা বিদেশে প্রথম দূতাবাসটি খুললেন নতুন দিল্লিতে ভাড়া করা বাড়িতে। কিন্তু কলকাতায় বাঙালি কূটনীতিবিদ এবং স্টাফ, সংখ্যায় ৬৫ জন, ‘মাইনরিটি’ ৪০ জনের মতো অবাঙালি কূটনীতিবিদ এবং স্টাফদের ডেপুটি হাইকমিশন থেকে বহিষ্কার করে ডেপুটি হাইকমিশনটিই দখল করে নিলেন। বাঙালি কূটনীতিকরা সেদিন এই দৃঢ় বিশ্বাসে অন্ধকারে ঝাঁপ দিয়েছিলেন যে, তমবাসৃত এ সুড়ঙ্গের শেষপ্রান্তে কোথাও উজ্জ্বল সূর্যোদয় অবশ্যই হবে। দিল্লি, কলকাতার পর কূটনৈতিক ফ্রন্ট খোলা হলো ২৬ এপ্রিল নিউইয়র্কে। এই দিন পাকিস্তানের নিউইয়র্কস্থ কনস্যুলেট জেনারেলের ভাইস কনসাল এএইচ মাহমুদ আলী (বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী) পদত্যাগ করলেন।
তাঁর মাপের একজন কূটনীতিক পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করার পর বিশ্বের মনোযোগ বাংলাদেশের দিকে আকৃষ্ট হয়। বিশ্বের আরো বেশি নজর টানে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে বাঙালি কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমদের জ্বালাময়ী বক্তৃতা। লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেদিন ‘বাংলাদেশ কেন স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করছে’ শীর্ষক বিষয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন।
মহিউদ্দিনের লেখা থেকে আরো জানা যায়, কে.এম. শিহাবুদ্দিন, আমজাদুল হক, হোসেন আলী, মাহমুদ আলীদের ধারাবাহিকতায় বাঙালি কূটনীতিবিদরা বেরিয়ে আসেন লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, প্যারিস, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন, হংকং, সুইডেনের স্টকহোম, নাইজিরিয়ার রাজধানী লাগোস, ব্রাসেলস, বৈরুত, কাঠম-ু, টোকিও এবং কায়রোতে। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পাকিস্তানের বাঙালি রাষ্ট্রদূত, প্রথমজন, ইরাকের বাগদাদে আবুল ফতেহ, কলকাতার হোসেন আলী সাহেবের মতোই ৪৯ ব্যাচের পিএফএস; দ্বিতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন আবদুল মোমেন-আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের এ্যামবাসেডর (পদত্যাগ ১১ অক্টোবর) এবং তৃতীয়জন ফিলিপিন্সে কে কে পন্নী (পদত্যাগ ১৪ সেপ্টেম্বর)। প্রথম দু’জন ক্যারিয়ার ফরেন সার্ভিস অফিসার, শেষজন পাবলিক লাইফ থেকে নিয়োগকৃত।
লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে মহিউদ্দিন আহমদসহ যে কয়জন পদত্যাগ করেন, তাদের নিয়ে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডনের নটিংহিল গেটের ২৪ নম্বর প্রেমব্রিজ গার্ডেনে একাত্তরের ২৭ আগস্ট খুললেন বাংলাদেশ মিশন। অন্যান্য পাকিস্তান মিশন থেকে পদত্যাগকারী বাঙালি কূটনীতিবিদ এবং স্টাফদের বেশ কয়েকজন মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে এই লন্ডন মিশনে যোগ দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। আবুল ফতেহ, আবদুল মোমেনও লন্ডনেই যোগ দিয়েছিলেন পদত্যাগ করে।
নবজাতক এই রাষ্ট্রটির কূটনৈতিক অঙ্গনে আরো একটি স্মরণীয় মুহূর্তে আসে ’৭১-এর ৪ আগস্ট, যেদিন ওয়াশিংটনের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে ডেপুটি চিফ অব মিশন এনায়েত করিম, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর শাহ্ এএমএস কিবরিয়া (৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী; দুষ্কৃতকারীর বোমা হামলায় নিহত), ইকনমিক কাউন্সিলর এ.এম.এ মুহিত (সাবেক অর্থমন্ত্রী), এডুকেশনাল কাউন্সিলর আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি, আতাউর রহমান চৌধুরী, এ.এম. শরফুল আলম ও শেখ রুস্তম আলী একযোগে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। একই দিন পাকিস্তানের জাতিসংঘ দূতাবাস থেকে এস.এ.করিমও বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসেন। (চলবে)

নাসিরুদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক,
সাংস্কৃতিক সংগঠক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট