যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের মধ্যে কোনও প্রেসিডেন্টের এরকম গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে ট্রাম্পের এই অসুস্থতা নতুন সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি করেছে। যদি ট্রাম্প অসুস্থতার কারণে সরকার পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী প্রথমেই যার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করতে পারবেন তিনি হচ্ছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
ট্রাম্পের আক্রান্ত হওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আরেক প্রার্থী জো বাইডেনও আক্রান্ত কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
বিশেষ করে গত মঙ্গলবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্পের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকায় বাইডেন আক্রান্ত হতে পারেন বলে উদ্বেগ ছিল।
বিবিসি জানায়, এ উদ্বেগের কারণে শুক্রবার সকালেই বাইডেনের পাশাপাশি তার স্ত্রীরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন তাদের চিকিৎসকরা। এরপর বাইডেন জানান, তাদের দুইজনেরই পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ এসেছে।
ওদিকে, ট্রাম্পের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সস্ত্রীক করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। পরীক্ষায় দুইজনেরই ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে বলে জানিয়েছেন পেন্সের মুখপাত্র।
পূর্বকোণ/ এস